এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-অপরিপক্ব লিচু
বাজারে বিক্রয় আরম্ভ হয়েছে। এমনটি চিত্র দেখা যায় দিনাজপুরের বিরামপুর বাজারে। আজ বুধবার (২১ মে) উপজেলার বাজার গুলোতে বিশেষ করে দেখা যায়,বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ব লিচু। লিচু হল একটি রসালো ও সুস্বাদু ফল। তবে এই লিচু বেশি ভাগই অংশ জুড়ে আবাদ হয় দিনাজপুর জেলায়।
জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হতে চলল এরই মধ্যে বিরামপুরের হাট-বাজারে দেখা মিলছে লিচুর ক্রয় বিক্রয়ের দৃশ্য। সেই বাজার গুলোতে প্রতি ১শ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩শ টাকা দরে। এসব অপরিপক্ব লিচু মানুষের জিবনের ঝুঁকি বাড়ায়। এরপরেও ক্রেতারা কিনছেন ক্রেতারা। এবিষয়ে স্হানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,আগাম লিচু বিক্রি করলে দাম একটু বেশি পাওয়া যায়। তাই তারা লাভের আশায় আগেভাগে বাগান থেকে এই লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। কৃষি অধিদপ্তর বলছে,লিচুর প্রকৃত সময় আসতে এখনো দুই সপ্তাহ বাকি আছে। বর্তমানে বাজারে যেসব লিচু উঠেছে সেগুলো অপরিপক্ব হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। স্হানীয় চিকিৎসকেরা জানান, অপরিপক্ব লিচু খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিরামপুর পৌর শহরের নতুন বাজার,পুরোনো বাজার,ঢাকা মোড় ফলপট্টি, কলেজ বাজার,কেটরাহাট,কাটলাহাট, মুকুন্দপুর বাজার,হাবিবহপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব লিচু বিক্রি করতে দেখা যায়। এই লিচু দেখে অনেকেই আগ্রহ করে কিনতে দেখা যায়। অনেকে হাতে নিয়ে দেখছেন,দামও করছেন। যে কেউ মুখে দিয়েই,না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ আবার অল্প হলেও কিনছেন।উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম লিচু কিনতে এসে বলেন,লিচু এখনো পরিপক্ব হয়নি। হালকা টকটক লাগছে। সবাই কিনছে,তাই আমি ১০০শ মাদ্রাজি লিচু কিনছি। তবে দাম চড়া। বিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান,উপজেলায় ১১৪ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। অল্টারনেট বেয়ারিংয়ের কারণে আম ও লিচু এক বছর উৎপাদন বেশি হলে প্রাকৃতিক ভাবেই পরের বছর ফলন কিছুটা কম আসে। তবে অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে কিছুটা ফলন কমেছে। বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রসুল রাখি জানান,এই লিচুতে যে এনজাইমগুলো থাকে,এ এনজাইম গুলো কেউ যদি খালি পেটে খায়,তবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় লিচু খেয়ে বাচ্চা মারা যাওয়ার যে খবর আমরা পাই,লিচু থেকেই এ সমস্যাটা হয়েছে। দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন,এ বিষয়ে আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি।
মন্তব্য করুন