নিজস্ব প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় বিএনপি ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
২২/০৪/২০২৫ইং উপজেলার ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়েনের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের ভোলা নদীর চর এলাকায় মোঃ আবুল কালাম খাঁন এর বাড়ীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র নেতা সিদ্দিক ঘরামীর নেত্রীত্বে ৪/৫ জন লোক গিয়ে ৫(পাচঁ) লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবী করেন।
ভুক্তভুগিদের অভিযোগ তার বাবা আওয়ামীলীগ করেন এবং ঘরের ভিতরে শেখ মজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে বলে চাঁদা দিতে হবে। ঘটনার সময় বাড়ীতে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম খাঁনের বড় মেয়ে ইয়াছমিন বেগম।সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে দেখা হয় আবুল কালাম খান এর স্ত্রী বেবি বেগমের সাথে তখন তাকে ধরে বাড়ির ভিতর নিয়ে আসেন সিদ্দিক ঘরামি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। চাঁদার দর কষাকষির এক পর্যায়ে ২০০০ টাকা নিয়ে আসেন চাঁদাবাজরা, বাকি টাকা দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়ে আসেন আবুল কালাম খান এর পরিবার ,চাঁদা পরিষোধ না করলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে আসেন চাঁদাবাজরা।
অনুসন্ধানে জানা যায় সিদ্দিক ঘরামী ৯০ দশকের সময় সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত ছিলেন তৎকালীন সময় ডাকাতি মামলা সহ একাধিক মার্ডার মামলার আসামি হয়েছিলেন। তিনি সরকারের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন তখন থেকে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। অন্যরা হলেন উপজেলা শ্রমিক দলের নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর তালুকদার পিতাঃ আসমত আলী তালুকদার গ্রামঃ উত্তর কদমতলা মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান তালুকদার পিতাঃ আব্দুর রব গ্রামঃ আমড়াগাছিয়া অজ্ঞত ২/৩ জন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা শরণখোলা উপজেলার বিএনপি গ্রুপিং রাজনীতির আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত ও মোল্লা ইসাহাক আলী গ্রুপের অনুসারী।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে নজরুল ইসলাম লাল ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শরণখোলা উপজেলা বিএনপি উনার সাথে যোগাযোগ কারা হলে তিনি বলেন তেমন কিছু বলতে পারেন না অসুস্থতার জন্য গ্রামের বাড়ীতে আছি ? তবে একজন ভাসা ভাসা বলেছেন আমাকে, আমি শুনেছি, সত্য কি? মিথ্যা ? বলা যায় না। কারণ ওখানে দুই গ্রুপিং আছে। আমি যতদূর জানি সিদ্দিক ঘরামীর আগে খারাপ লোক ছিল এখন ভাল হয়ে গেছে, এটাই জানি। মেম্বার হয়েছে মানুষের জনসেবা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমার সংঙ্গে এই ঘটনার
(চাদা দাবির) ব্যাপার ভুক্তভোগী বা সংগঠনের কারও মাধ্যমে কেউ অভিযোগ করে নাই।
আমি তদন্ত করে এব্যাপারে জানাতে পারবো। আর কেউ যদি লিখিত ভাবে অভিযোগ করে তদন্ত সাপেক্ষে সংগঠনিক ব্যাবস্থা গহণ করা হবে।
এদিকে শরণখোলা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন এব্যপারে আমি কিছু জানি না। এবং আমাকে কেউ কিছু বলে নাই।
মন্তব্য করুন