কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সভাপতি প্রার্থী মাজেদুল ইসলাম মিন্টু বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে কাউন্সিল স্থলে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে আগে থেকেই রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা অপর সভাপতি প্রার্থী আক্তার বেপারীর সমর্থকরা মাজেদুল ইসলাম মিন্টুর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এসময় ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে আহতদের তাৎক্ষণিক নাম জানা যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে উপজেলা মজিদপুর ইউনিয়নের মোহনপুর-উজিরাকান্দি ব্রীজের পশ্চিম পাড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কাউন্সিল শুরু হলে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কাউন্সিল স্থলে যাওয়ার পথে জানতে পারে মাজেদুল ইসলাম মিন্টু বহিরাগত সন্ত্রাসীর গাড়ির বহর নিয়ে কাউন্সিল স্থলে আসছে, তখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আক্তার বেপারীর লোকজনসহ নেতাকর্মীরা মিন্টুর গাড়ি বহরে হামলা করে। এতে গাড়ি ভাংচুরসহ মিন্টুর পক্ষের ১০ জন গুরতর আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে নেতাকর্মীরা কাউন্সিল স্থলে চলে যায়।
সভাপতি প্রার্থী আক্তার বেপারী বলেন, আমি সম্মেলন স্থলে ছিলাম, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শত শত লোক বহিরাগতদের আটক করেছে, এসময় ওসিকে সাথে নিয়ে উভয়কে সরিয়ে দিয়েছি। কে বহিরাগতদের এনেছে জানতে চাইলে আক্তার বেপারী বলেন মিন্টু এনেছে।
মাজেদুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো বহিরাগত লোক নেইনি, সবাই আমার উপজেলার দড়কান্দি ও শোলাকান্দির লোক এবং তারা দলীয় লোক ও আত্মীয়-স্বজন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আক্তার বেপারী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমার লোকজনের উপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর করেছে। ১০জন আহতের মধ্যে একজন মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল ভর্তি রয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওসমান গনি ভূইয়া বলেন, কাউন্সিল স্থল থেকে অনেক দুরে ঝগড়া হয়েছে তবে আমাদের কাউন্সিল শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন