মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মো. সাইদুর রহমান (৩২)-এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের আলোকদিয়া সেতুর পাশে।
আহত সাইদুর রহমান বারহাট্টা উপজেলার ধারাম গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদে সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই রাতে ইমামসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে আলোকদিয়া সেতুর পাশে একটি চায়ের দোকানে যান সহকারী ইমাম সাইদুর। চা খাওয়া শেষে অন্যরা চলে গেলে তিনি একাই মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিতে যান। এ সময় ৮-১০ জন অজ্ঞাত যুবক তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা তাকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের হাত থেকে দৌড়ে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন সাইদুর। হামলাকারীরা তার মোটরসাইকেল ও চাবি নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী সাইদুর রহমান জানান, হামলাকারীদের একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগে ইলিয়াস হোসাইন আরাবী (২৮), মেহেদী হাসান (২২) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলেছে। তদন্তের দায়িত্ব এসআই রবিউল আওয়ালকে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মোহনগঞ্জ বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, আলেম-উলামা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা এ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
বিকেলে হেফাজতে ইসলামের একটি প্রতিনিধি দল মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন