মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর সদর থানায় ধর্ষকের পরিবারকে ডেকে জোর করো আপোষ করানোর প্রতিবাদে মেহেরপুর সদর থানার মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্দ ছাত্রজনতা। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে সিয়াম, সহ ৬/৭ জন আহত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে মেহেরপুর সদর থানায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রন করে। এ ছাড়া মেহেরপুর পুলিশ সুপার সহ পুলিশের অন্যন্য কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।
ছাত্র ও জনতার অভিযোগ ৬ মাস আগে মেহেরপুর সদর থানার আশ্রয়ন প্রকল্পের ৯বছর বয়সের এক শিশুকে বায়েজীদ নামে ২০বছরের যুবক ধর্ষন করে। সেই ধর্ষনের মামলায় বায়েজিদ ও তার সহযোগিদের নামে মামলা হলে পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর তারা জামিনে বের হয়ে আসে। জামিনে বের হয়ে এসে বাযজিদ সহ তার লোকজন বিভিণ্ন ভাবে শারিরিক নির্যাতন সহ ১লক্ষ টাকার চাদার দাবি করে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার পরিবার পুনরায় থানায় মামলা করে। মামলার পর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই সঞ্জয় কুমার মল্লিক ধষিতর পরিবারকে আজ
বৃহস্পতিবার রাতে থানায় ডেকে নেয়। ধর্ষিতর পরিবার থানায় গেলে ওসি মেজবা ও এ এস আই সঞ্জয় কুমার মল্লিক বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় ধর্ষিতার পরিবার ছাত্র জনতাকে খবর দিলে শতশত ছাত্র জনতা সেখানে উপস্থিত হয়ে অপোষের বিরোধিতা করে। এসময় ছাত্র জনতার উপর পুলিশ লাঠির্চাজ করে। পরে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা থানার মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ সদস্যরা থানার মুল ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দেন। সেই সাথে ধর্ষক ও পুলিশের বিচারের দাবি জানান। পরে সেনা বাহিনী ও পুলিশ সুপার এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ছাত্র আন্দলনের আাহবায়ক ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, আমরা একটা বোন হারিয়েছে আর কোন বোন হারাতে চায় না। ধর্ষকে আজকের মধ্যে গ্রেফতার করে হাজতে নিতে হবে। যে যে পুলিশ সদস্য র্ধষকের পক্ষে নিয়ে আমাদের পিটিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। যে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিয়েছে তারও বিচার করতে হবে।
সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ধানার সিসি টিভি ফুটেজ দখে সত্যতা যাচাই করা যাবে। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ আছে তারা ব্যবস্থা নেবে।
পুলিশ সুপার সুপার মাকসুদা খানম বলেন, ৬ মাস আগে সেপ্টম্বর মাসে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। তখন পুলিশের অবস্থা কিছিল সবাই আপনারা জানেন। তারপরও পুলিশ যথাযথ কাজ করে ধর্ষককে ধরে কোটে পাঠিয়েছে। মহামান্য আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। পুলিশের জামিন পাওয়া লোকের কিছু করা ক্ষমতা নেই। তবে দোষি পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া বিষয় তিনি এড়িয়ে যান।
মন্তব্য করুন