কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, শ্লীলতাহানি, চুরি ও প্রাননাশের হুমকির অভিযোগে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে আঠারো বছরের যুবক দেখিয়ে মামলায় অভিযুক্ত করায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামের নবীর হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন প্রকাশ ইতি (২৪) বাদী হয়ে তিতাস থানায় এ মামলা রুজু করেন। ওই মামলায় শিক্ষার্থী ছাব্বির আহাম্মেদসহ তার বাবা প্রবাসী মোঃ কবির হোসেন মা কুহিনুর বেগম ও বড় দুই বোনসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে মামলায় উত্থাপিত একাধিক অভিযোগের সত্যতা নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিটিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নবীর হোসেনের সাথে তার সৎ ভাই কবির মিয়ার জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে, কবির হোসেন ও তার স্ত্রী কোহিনূর আক্তারসহ দুই মেয়ে রিয়া, সোহাগী ও ছেলে ছাব্বিরসহ অজ্ঞাত ৩/৪জন নবীর হোসেনের ওপর হামলা করে। তবে এ ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে নবীর হোসেনের সৎ ভাই মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী প্রবাসী কবির হোসেন তার স্ত্রী কূহিনুর বেগম ও ষষ্ঠ শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী সাব্বির আহাম্মেদ বলেন আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এবিষয়ে তিতাস থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজন আসামীকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ১৩বছরের শিশু সাব্বির আহাম্মেদকে ১৮বছরের যুবক দেখানো হয়েছে মামলায় এ প্রশ্ন করলে তিনি আরও বলেন, সমস্যা নেই আমরা এইটা যাচাই বাছাই করেই গ্রেফতার করবো।
মন্তব্য করুন