আব্দুল আজিজ তিতাস উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসে ভিটিকান্দি ও নারান্দিয়া ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচীর নিম্ন মানের চাউল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে গেলে এ অভিযোগগুলো করে কর্মসূচীর আওতায় সুবিধাভোগি পরিবারগুলো।
জানা যায়, খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচীর আওতায় ৩০টাকা দরে ৫কেজি চাল ও ২৪টাকা দরে ৫কেজি আটা কার্ডধারী প্রতিটি পরিবার ১৫দিন পর পর নিতে পারবেন।
এর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মনোনীত ডিলাদের নিকট টাকা ও ভোটার আইডি কার্ড জমা দিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুবিধাভোগি জানায়, পূর্বে এমন চাউল কখনো পাইনি। এবারই নিম্নমানের ও দুর্গন্ধযুক্ত চাউল বিতরণ করছে। যেগুলো নিজেরা খেতে পারবো না।
ওএমএস কার্ডধারী অন্যজন বলেন, আমরা অনেক ধইরা সরকারের এই চাইল কিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে বেঁচে আছি। এর মধ্যে কোনো সময় এরকম পঁচা চাইল পাই নাই। তবে এইবার এমন চাইল কেনো দিলো, জিগাইলে কয়। গোডাউন থেইকাই নাকি এমন পঁচা চাইল আইছে।
অভিযোগের বিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার স্বপন মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে সে খারাপ চাউলের কথা স্বিকার করে চালান স্লিপ দেখিয়ে বলেন, এবারে অনেক বস্তায় খারাপ চাউল পরেছে সত্য। এখন আমরা কি করবো। যেমন চাউল দিয়েছে আমরা তেমনই বিতরণ করছি।
নারান্দিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার শাহআলম ভালো চাউলের সঙ্গে পুরোনো পঁচা ও নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বিতরণ করার দৃশ্য দেখা যায়। সেও একই কথা জানায় সাংবাদিকদের। তবে প্রতি বস্তায় ২-৩কেজি করে চাউল ওজনে কম আসে বলেও তিনি জানান।
তিতাস উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ ওয়াসিম মুঠোফোনে জানান, আমাদের গোডাউনে লেটেস্ট মাল, পুরান কোন চাউল নাই। হোমনা-মেঘনা-তিতাসের ৩ জায়গায় মাল যায়। এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসে নাই। যদি এমন হয়; বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তবে বস্তা প্রতি চাউল কমের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন বলেন, খাদ্য কর্মকর্তাকে বলবো তদন্ত করে দেখতে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।
মন্তব্য করুন