সামিমা আক্তার:
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ভাই -ভাইয়ের শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আপন ছোট ভাইকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হাত পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়ার অভিযোগ উঠছে আপন মেজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। কাউখালি উপজেলার বদরপুরের জাপসি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ ফোরকান(৩৫) মৃত্যুর পথযাত্রী। গত ০৫ আগস্ট সমগ্র বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে ইতিহাস সৃষ্টি করে দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেন সমগ্র বাংলাদেশের আপামর জনগণ। গত ১৫ বছরের দুঃশাসন সহ দুর্নীতি করার মিশনে ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতি।ভোট বিহীন অবৈধ সরকার নানান কায়দায় ছলাকলা করে প্রহসনের রাজনীতি করে। প্রতিবেশী ভারতের নগ্ন থাবার কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত ছিল এক সময়ের জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।অথচ কূটকৌশলী খুনি শেখ হাসিনার বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন বি এন পি সহ জামাত শিবিরের মতো বহু ইসলামী আন্দোলন। তবে চূড়ান্ত বিজয় নিয়ে এসেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলন। দলমত নির্বিশেষে ছাত্র জনতার ফসল আজকের অন্তবর্তিকালিন সরকার।
অথচ দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় ফিল্মি স্টাইলে একটা অংশের জুলুম নির্যাতন। চাঁদা দাবি সহ জুলুম নির্যাতন করতে কুন্ঠা বোধ করেননি। বাদ যায়নি পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার বদরপুরের মোঃ ফোরকান (৩৫)। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আপন ভাইকে অমানবিক কায়দায় জুলুম নির্যাতন করতে কুন্ঠা বোধ করেননি আপন ভাই মোঃ দুলাল। স্বার্থের জন্য আপন ভাইকে হত্যার চেষ্টা করার মিশনে ছিল বড় ভাই মোঃ দুলাল । রাজনৈতিক ভাবে দুলাল স্থানীয় উপজেলা বি এন পির রাজনীতির মাঠে সম্পৃক্ত থাকার সত্যতা রয়েছে। অপর দিকে আপন ছোট ভাই মোঃ ফোরকান (৩৫) ঢাকায় বসবাস করতেন।বেচে থাকার জন্য ব্যবসা বানিজ্য করে সুন্দর ধরনীর বুকে ভালো ভাবেই জীবন যাপন করতেন।গতি ১৫ আগস্ট ঢাকা থেকে আইরন জয়কুল বাজারে আনুমানিক ভোর ৫.৩০-৬.০০ মধ্যে লাবিবা পরিবহনে আসেন
,আগে থেকেই খবর পেয়ে আহত মেজ ভাই দুলাল তার ক্যাডার বাহিনী ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বৈশাশিক নির্যাতন চালায় ও তার দুইপা জিআই পাইপ দিয়ে ভেঙে দেয়,পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফোরকান কে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয় পরে ওখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়,আহত ফোরকান জানান গত ১৫ই আগস্ট
তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন তখন তার বড় ভাই ঢাকা বসে তাকে তিন লক্ষ টাকা দেয় গরু কেনার জন্য সে টাকাও তার সাথে ছিল তিনি যখন আইরন জয় কুল বাজারে এসে পৌঁছান তখন তার আপন মেজ ভাই দুলাল ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তার উপরে নির্মমভাবে মারধর করে এবং তার পা দুটো ভেঙে দেয় ও তার সাথে থাকা তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়,বর্তমানে ফোরকান চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে আছেন,ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় ও বিষয়টি তদন্তের জন্য কাউখালী থানায় প্রেরণ করা হয়,
এ ব্যাপারে আহত ফোরকানের বড় বোন বলেন ফোরকান আমাদের সবার ছোট উক্ত গ্রামে ওর কোন বদনাম নেই ও এলাকায় পারলে মানুষের উপকার করে না পারলে চুপ থাকে এলাকার মানুষ ওর উপরে সন্তুষ্ট কিন্তু আমার মেজ ভাই দুলাল সামান্য কিছু স্বার্থের জন্য আমার ছোট ভাই ফোরকানের উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় এতে ফোরকানের দুটি পায়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেঙে যায় এখন বলতে গেলে পঙ্গু অবস্থায় ঘরে বসে কাতরাচ্ছে, আমি প্রশাসন ও বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর অনুরোধ করছি বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ফোরকানের উপরে হামলার কঠিন বিচার চাই।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন ফোরকান ভাই অত্যন্ত ভালো মানুষ সে মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় থাকে কিন্তু তার আপন ভাই তার উপরে এরকম হামলা চালাবে তা আমরা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি,আমরা এই হামলার দ্রুত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে দুলালের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেন ।
মন্তব্য করুন