1. editor.dso@gmail.com : admin :
  2. shirsoaparadhnews@gmail.com : দৈনিক শীর্ষ অপরাধ : shirso Aparadh
  3. maria.sgbd@gmail.com : Saiful : Saiful
  4. info.editor.dsa@gmail.com : Mahfuz Sarker : Mahfuz Sarker
মা ও মেয়ের কুখ্যাত ধর্ষণ সালাউদ্দিন গ্রেফতার - দৈনিক শীর্ষ অপরাধ
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন সকাল ৮:৫৯ ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ ৯ই জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনা সদর এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার। একজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১০ সিমের অনুমোদন, ১৫ আগস্ট থেকে কার্যকর ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব গাজায় ইসরাইলের হামলায় আরো ১০৫জন নিহত ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজনীতিকদের শুদ্ধ হতে হবে: গভর্নর তিতাসের শাহপুরের মাদক সম্রাট সেকান্দরসহ ২জনকে আদালতে প্রেরণ ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত জুলাই অভ্যুত্থানের ১১ মাস পর দাউদকান্দিতে আরো একটি হত্যা মামলা ডেমরায় বিএনপির দোয়া মাহফিল: খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের প্রার্থনা তিতাসের রামভদ্রায় প্রতিপক্ষের ড্রেন নির্মাণে ঝুঁকিতে বিল্ডিং, অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে মানছে না বিচার-শালিশ

মা ও মেয়ের কুখ্যাত ধর্ষণ সালাউদ্দিন গ্রেফতার

  • Update Time : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮০ Time View

আব্দুল আহাদ হোসেন : বহুল আলোচিত ২০২০ সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন জিবধরছড়া এলাকায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত ধর্ষক সালাউদ্দিন (২২)’কে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ভুইগড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ৩। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন জিবধরছড়া এলাকায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে হাতমুখ বেঁধে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত ধর্ষক ১। সালাউদ্দিন মিয়া (২২), পিতা-হুছেন আলী, সাং-জিবধরছড়া, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জকে ৩০/০৩/২০২৪ তারিখ ২০০০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ভুইগড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম বিউটি এবং তার মা আমেনা খাতুন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন জিবধরছড়া এলাকায় বসবাস করতো। গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন এবং মামলার অপর আসামী শাকিল ও হারুন একই এলাকায় বসবাস করতো। গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন একসঙ্গেই শাকিল ও হারুনের সাথে দিন মজুরের কাজ করতো এবং অধিকাংশ সময় একসাথেই কাটাতো। ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত পলাতক শাকিল অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করে যে, ভিকটিম বিউটি ও তার মা আমেনা বেগম ছাড়া তাদের বাড়িতে অন্য কেউ থাকে না। ভিকটিম বিউটি আক্তারের ছোট ভাই সবুর রেল কোম্পানীতে চাকরি করায় বাড়িটি ছিল পুরুষশুন্য। ভিকটিমদের নির্জনতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামিদের মধ্যে যৌনলিপ্সা পূরণের আকাঙ্খা তৈরী হয়। যৌন আকাঙ্খা পূরণে তারা ভিকটিমদের উপর তীক্ষè নজর রাখতে শুরু করে। সুযোগবুঝে ভিকটিমদের পূর্ব পরিচিত শাকিল গত ০২ অক্টোবর ২০২০ তারিখ রাত ০৮ টার সময় ভিকটিমদের বাড়িতে এসে তাদের দরজায় ধাক্কা দিয়ে চাচী চাচী বলে ডাকতে থাকে। পূর্ব পরিচিত শাকিলের ডাকশুনে ভিকটিমরা ঘরের দরজা খুলে বাহিরে বের হয়ে আসে। বাহিরে এসে তারা শাকিলের সাথে আরও দুইজন অপরিচিত ব্যক্তি সালাউদ্দিন ও হারুনকে দেখতে পায়। শাকিল জরুরী কথা আছে বলে ঘরের ভিতরে বসতে চায়। ভিকটিমরা তখন শাকিলসহ তার সহযোগীদেরকে সরল বিশ্বাসে তাদের ঘরের মধ্যে বসতে দেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক কিছুক্ষন পর শাকিল হঠাৎ তাদের ঘরে সৌর বিদ্যুৎতের আলো নিভিয়ে দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে সালাউদ্দিন, শাকিল ও হারুন তিনজন মিলে ভিকটিম বিউটি এবং তার মা আমেনা খাতুনের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির কারনে ভিকটিমরা চিৎকার করতে শুরু করলে শাকিল তার হাতে থাকা দা দিয়ে তাদেরকে কেটে ফেলার ভয় দেখায় এবং বাহিরে তাদের আরও অনেক লোক আছে বলে হুমকি দেয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামিরা কাপড় দিয়ে ভিকটিম মা ও মেয়ের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে এবং জোরপূর্বক পালাক্রমে মা ও মেয়েকে একই সাথে দলবদ্ধভাবে গণর্ধষণ করে। আসামিরা ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে জানালে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আসামিরা চলে গেলে ভিকটিমরা স্থানীয় ইউপি সদস্যের নিকট বিষয়টি জানায়। ইউপি সদস্য ভিকটিমদেরকে চুনারুঘাট থানায় যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম বিউটি বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় শাকিল, সালাউদ্দিন ও হারুনের নাম উল্লেখ পূর্বক ০২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা রুজুর পর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও শাকিল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং কিশোর হারুন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। মামলার দীর্ঘ বিচারিক পক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ২১ তারিখ হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক কর্তৃক গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন ও পলাতক শাকিল এর অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা প্রদানের রায় ঘোষনা করেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ঘটনার পর থেকেই সে এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে নাম পরিচয় আত্মগোপন করে অটো রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে শুরু করে। রাজধানীতে ৪-৫ মাস থাকার পর সে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন ভুইগড় এলাকায় চলে যায়। উক্ত এলাকায় গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন অটো চালাতো। অটো চালানোর পাশাপাশি সে অটোর ব্যবসাও শুরু করেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

খবরটি ভাল লাগলে লাইক-শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012- 2024

Theme Customized By Diggil Agency
Verified by MonsterInsights