নাহিদ নীলা:”রাজধানী মিরপুরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা মামলার আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে” এমনই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ওই পরিবারের তিন সদস্য।
বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সি.আর মামলা নং ৬৬৮/২০২৪ এ দেখা যায় বিগত ৪ আগস্টে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের আইডিয়াল স্কুল সংলগ্নে ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ কৃতদের সহযোগিতা করতে যায় ১১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ কবির। তখন পুলিশ ও স্বৈরাচারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় আব্দুল্লাহ কবির। এরপর নিহতের পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/১১৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে।
যেখানে দেখা যায় মামলার ২৪ নম্বর আসামি হাবিবুর রহমান(৩৫) ;পিতা: কদম আলী(৬৮),৩৩ নম্বর আসামি কদম আলী;পিতা:মৃত চান মিয়া ও ৬৭ নম্বর আসামি নূরে আলম(৩৬);পিতা কদম আলী কে আসামি করা হয়। তবে আসামি তালিকায় এই একই পরিবারের ৩ সদস্যের
কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে এই পরিবারের ৩ সদস্য অভিযোগ করে বলেন- আমরা কখনে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। কিন্তু ব্যবসায়িক পূর্বতার শত্রুতার জেরে একটি মহল আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভোগ করার জন্য মামলায় আমাদের সবাইকে জড়িয়ে দেয়।ঘটনার দিন আমরা বাসা থেকে কেউ বের হয়নি। সকল খবরা-খবর আমরা টেলিভিশনের দেখেছি। আমাদের পরিবারের সবাই ধার্মিক। আমরা সবসময় ছাত্র-জনতার জন্য দোয়া করেছিলাম।
মিরপুর মহিলা সমিতি মার্কেটের সাধারণ সম্পাদীকা সহ একটি মহলের যোগসাজজে মামলায় আমাদেরকে জড়ানো হয়। আমরা এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তিন সদস্য অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের কাছে এর বিচার চেয়ে এই হয়রানির মামলা থেকে তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, এই মামলাকে কেন্দ্র করে নিহত আব্দুল্লাহ কবিরের ছোট ভাই মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী মো: রাজু খান এই পরিবারের তিনজন থেকে ৩০ লক্ষ্য টাকা দাবী করে মামলা থেকে তাদের নাম সরিয়ে দিবে বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
মন্তব্য করুন