একরামুল হক : গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে শহীদ সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার ৬ জন শহীদ পরিবারকে বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ জনির পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল ১৭ আগস্ট ফেনী জেলার দাগনভুইয়া উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের নিহত সারোয়ার জাহান মাসুদের (২২) কবর জিয়ারত করেন এবং তার পিতার হাতে অনুদানের অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন।
পরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার শহীদ ওয়াকিল আহমেদ শিহাব, সাইদুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারী গ্রামের জাকির হোসেন শাকিব, চরচান্দিয়ার মাহমুদুল হাসান, কবর জিয়ারত শেষে পরিবারের সদস্যদের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
আবদুল লতিফ জনির আগমনের খবর শুনে শত শত গ্রামবাসী সমবেত হন । উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ছাত্র জনতা শোক কে শক্তিতে রূপান্তর করে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের নিকট আহবান জানান
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার,যুগ্ম, আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, যুগ্ন আহবায়ক ইয়াকুব নবী, যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির নেতা বাহাদুর, এমদাদ হোসেন সাইফুল, ফেনী জেলা যুবদলে সাবেক যুগ্ন আহবায়ক জাফর আহমেদ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনাগাজী উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাফিজুর রহমান, সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাসুদ, রাসেল পাটোয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম জাবেদ, যুগ্ন আহবায়ক, ইকবাল হোসেন সুমন ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন অনেকে।
মন্তব্য করুন