নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটি থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অযাচিত হস্তক্ষেপে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। এ কারণে নতুন নীতিমালায় তাদের বাদ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের দেওয়া ১৮টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে আটটি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব বাছাই করেছে সরকার। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত নীতিমালাটিকে সবচেয়ে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য বলে অভিহিত করেছে কমিশন। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সংশোধিত নীতিমালা সচিব কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে, যা এক মাসের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশনা রয়েছে।
প্রস্তাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই ম্যানেজিং কমিটি হবে সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সংস্কার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। এর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পর এক মাসের মধ্যে সারাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে।”
এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ভোগান্তিতে থাকা স্কুল-কলেজগুলোতে একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠবে বলে আশা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন