এমডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা ভুমি অফিসে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২৮ জুলাই) দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা ভুমি অফিসে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পলাশ চন্দ্র মন্ডল। জানা যায়,উপজেলার ৩নং খানপুর ইউনিয়নের কালি শহর মহল্লার মৃত রনজিত চন্দ্র মন্ডলের ছেলে পলাশ চন্দ্রের নিকট হতে এডিসি বরাবর দিনাজপুর রিভিউ কেসের জন্য বিরামপুর উপজেলা ভুমি অফিসের পিয়ন মাসুদ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পলাশ চন্দ্র মন্ডল।
এবিষয়ে পলাশ চন্দ্র মন্ডল একটি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। এবিষয়ে বিরামপুর সহকারী (ভুমি) কমিশনারের নিকট ২৮ জুলাই ০৪:৪২ মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা কোন লাভ হয়ে নাই।উল্লেখ্য,উপজেলা সহকারী (ভুমি) কমিশনার অফিস থেকে গত ১৩/৬/২৪ ইং তারিখ মুরাদ হোসেন (স্বাক্ষরিত) সহকারী কমিশনার ভুমি ইউএলও মামলার নথি পর্যালোচনা করে ১৯৬৬ সনের দলীল স্হাপন ও অস্পষ্ট দেখিয়ে /৯৭/২০২৩-২৪ নং রিভিউ কেসের একটি আদেশ প্রদান করেন।
উক্ত কেসের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় পলাশ চন্দ্র মন্ডল এডিসি বরাবর আপিল কেসের তদবির নিয়ে অফিস পিয়ন মাসুদের সাথে কথাবার্তা হয়ে থাকে। একপর্যায়ে মাসুদের সহিত ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় বলে জানান পলাশ চন্দ্র মন্ডল। সেই মতে পলাশ চন্দ্র মন্ডল ৩০ হাজার টাকা মাসুদ কে প্রদান করে থাকেন। একমাসের মধ্যে কাজ হবে মর্মে বলে মাসুদ পলাশ চন্দ্র মন্ডল কে জানান। সময় অতিবাহিত হওয়ার একপর্যায় পলাশ চন্দ্র জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার একপর্যায় রতনপুর বাজারে তার কম্পিউটারের দোকানে ভুমি অফিসের পিয়ন মাসুদ কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন সেই ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন। এবিযয়ে অফিস পিয়ন মাসুদের নিকট জানতে চাইলে তিনি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।প্রকৃতপক্ষে কাজের জন্য অফিস পিয়ন মাসুদ অর্থ গ্রহণ করে আইন অমান্য করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানের জনসাধারণ জানান,
বিরামপুর উপজেলা ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্য অর্থ দিতে হয়। অর্থ না দিলে কোন কাজ হয় না। স্থানীয় জনসাধারণ উপজেলা ভূমি অফিসের অনিয়ম কার্যক্রমের প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন