আবদুল আহাদ হোসেন : বহুল আলোচিত রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া এলাকায় ২০২১ সালে পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ১। মোঃ আলমগীর (৩১), পিতা-জয়নাল উদ্দিন, সাং-মেরাদিয়া নয়াপাড়া, থানা-খিলগাঁও, ডিএমপি, ঢাকা এবং ২। মোঃ রাজিব (২২), পিতা-নুর ইসলাম, সাং-দক্ষিন বনশ্রী, থানা-খিলগাঁও, ডিএমপি, ঢাকাদেরকে ২৮/০৩/২০২৪ তারিখ ২২৩০ ঘটিকায় ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা এবং যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃ আসামীদ্বয় জানায় যে, রাজধানীর খিলগাঁও ও বাড্ডা এলাকায় তারা হত্যামামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় যারাই বাধা সৃষ্টি করতো, তাদেরকে তারা অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স ভিকটিম মৃত আসিফ তার কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়া ধরিয়ে দেয়। এতে গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও রাজিব সহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল ২০২১ রাতে খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও রাজিব সহ আরও বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়। এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়াস্থ সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে আসামাত্র পূর্ব হতে ওঁতপেতে থাকা আলমগীর ও রাজিব সহ তার সহযোগীরা আসিফকে ঝাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে সকল আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম আসিফকে তার আত্মীয় স্বজনরা ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ০২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৫/৬ জনকে আসামী করে খিলগাঁও থানায় পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৯, তারিখ ১৬/০৪/২০২১। উক্ত হত্যাকান্ডের প্রধান হত্যাকারী জিন্নাত আলী এবং তার এক সহযোগীকে গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে র্যাব-৩ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় জিন্নাত এর জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত আলমগীর এবং রাজিব উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। জিন্নাতের জবানবন্দির আলোকে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন