আব্দুল কাদের,খাগড়াছড়ি: ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব অতিবৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মাইনী নদীতে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। এতে ০২টি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রামে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী। তিনি বলেন, ‘টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আমার ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে প্রায় ০৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’
এছাড়াও কবাখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ০৫ টি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জ্ঞান।
এদিকে পাহাড় ধ্বসের কারনে লংগদু সেতু ডুবে যাওয়ায় সাজেক এর সাথে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নের প্রধান সড়ক ও মেরুং বাজার প্লাবিত। পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাদ্য ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে শাকসবজিসহ নানা ফসলের জমি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মামুনুর রশীদ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় দীঘিনালায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যে সকল পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র উঠেছে তাদের শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ঠ চেয়ারম্যানদের তত্ত্বাবধানে দেখাশোনা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘লংগদু উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে স্থানীয় প্রশাসন ও সওজ বিভাগ কাজ করছে। অন্যদিকে পানি কমে গেলে সাজেকের সাথে সারাদেশের যান চলাচল সচল হবে।’
মন্তব্য করুন