নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সময় নিয়ে একজন প্রাথীকে নানান দিক থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে ঘোষিত এ কমিটিতে অন্যান্যদের মাঝে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সময়ের সাহসী যোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক কর্মীবান্ধব হিসেবে পরিচিত সোহেল রানা।
উল্লেখ্য, প্রথমে রাজিবুল ইসলাম (বাপ্পি)কে সভাপতি এবং সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে অত্যন্ত সময়োপযোগী এ কমিটি গঠন করা হয়। এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান এ পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।
পূর্নাঙ্গ এ কমিটি ঘোষণায় উল্লসিত সমগ্র মতিঝিল এলাকার কর্মীদের মাঝে বেশ প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের প্রতিফলনস্বরূপ কমিটি ঘোষণায় কর্মীদের মাঝে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে বলেই ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কমিটি ঘোষণার পর,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবীতে গঠিত “একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন বাস্তবায়নের দাবী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগে সহ-সভাপতির পদে নির্বাচিত করায় মতিঝিল থানা ছাত্রলীগসহ মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মীরা যেমনি খুশি তেমনি তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
এদিকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকের প্রতি। তাদের সুচিন্তিত সিদ্ধান্তেই আজ আমি সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছি। তারা আপোষহীন বলেই বহিরাগত বর্ণচোরা এবং কোন অবৈধ তদবিরকারীরা কমিটিতে কোন চান্স পায়নি।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব হিসেবে সাংগঠনিক ভাবে আমার প্রিয়সহকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ সক্রিয়তার মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার “স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে কাজ করে যাবো। আমি দেশপ্রেমিক সকলের কাছে এ ব্যাপারে দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করি।
প্রসঙ্গত: নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক সূত্র জানিয়েছে শুরু থেকেই ঈষার্নি¦ত হয়ে চিহ্নিত উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী বির্তকিত ব্যক্তি নবগঠিত এ কমিটিতে তার নিজের লোক অন্তর্ভূক্ত করতে ও কয়েকজন সময়ের পরীক্ষিত সাহসী ছাত্রলীগকর্মীকে বাদ দিতে অবৈধভাবে নানান তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আপোষহীন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কিছুতেই বিভ্রান্ত করতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে পরিচ্ছন্ন এ কমিটি ঘোষিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন