ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অভিযান চালায়িয়েছে ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিন বর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ লেনদেনের প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ায় ৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মোবাইল জব্দ করেছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসের এক শ্রেণীর অসাদু কর্মকর্তা কর্মচারী পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহকদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করে এবং ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফেনী, নোয়াখালী ও চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর এনফোর্সমেন্ট এর সদস্যা দিনভর অভিযান চালায়। ফেনী পাসপোর্ট অফিসে দুদকের এই অভিযানকালে সুপারিনটেনডেন্ট মো. জাবেদ উদ্দিন, উচ্চমান সহকারী পাপ্পু চক্রবর্তী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শারমিন আক্তার উর্মি, নিরাপত্তা প্রহরী কাম উপ পরিচালকের পিএ মো. আফজাল হোসেন এর মোবাইল জব্দ করে নিয়ে যায়। অপর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক জিয়াউল হক জনির মোবাইলের সকল প্রকার মেসেজ চেক করে ফেরত দিয়ে দেয় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা।
অভিযানকালে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা শুরুতে সিভিল পোশাকে ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সাথে কথা বলে এবং অফিসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে দুদকের পোশাক পরে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চারজনের মোবাইল জব্দ করে নিয়ে যায়। অভিযানে অংশ নেয়া দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ এর ভেরিপাইড ফেইসবুক পেইজে এই অভিযান প্রসঙ্গে উল্লেখ করে লিখেন ফেনীসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন সেন্টার, উত্তরা অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর বিরুদ্ধে জরুরি পাসপোর্ট, পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন ও পাসপোর্ট নবায়ন করিয়ে দেওয়ার জন্য পরষ্পর যোগসাজশে ঘুষ লেনদেন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক যোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চাঁদপুর ও নোয়াখালী হতে একযোগে চারটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম উক্ত অফিসের কতিপয় কর্মচারীর সাথে দালালদের যোগসাজশের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষণের নিমিত্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোবাইলের তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। অভিযান প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক রোতিকা সরকারকে অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বার ০১৭৩৩ ৩৯ ৩৩ ৫৩ এ বার বার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন