বহুল আলোচিত যশোর জেলার কেশবপুর এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে উদ্ধারসহ অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ রাকিবুল হাসান ওরফে রাজু (২৫)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন আদর্শবাগ এলাকায় গত ২৬/০৩/২০২৪ তারিখ ১৭৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত যশোর জেলার কেশবপুর এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারপূর্বক অপহরণ চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ রাকিবুল হাসান ওরফে রাজু (২৫), পিতা-মোঃ আইয়ুব আলী, সাং-ব্রাহ্মণডাংগা, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, অপহৃত ভিকটিম কিশোরী যশোর জেলার কেশবপুর এলাকার সাতাইশকাটি ব্রাহ্মণডাংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২৬/০২/২০২৪ তারিখ ১৭৩০ ঘটিকায় ভিকটিম প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে সাইকেলযোগে তার প্রাইভেট টিউটরের বাড়ির দিকে রওনা করে। পথিমধ্যে সাতাইশকাটি মোড় নামক স্থানে পৌছালে গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের মূলহোতা রাকিবুল এবং তার অপরাপর সহযোগী মোঃ মিলন হোসেন ও মোঃ তানভীর টিপু মিলে একটি সাদা প্রাইভেটকার যোগে ভিকটিমকে পথরোধ করে। অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের সহযোগিতায় গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ভিকটিম নিজ বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে ০৯১৫ ঘটিকায় প্রাইভেট টিউটরের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে। প্রাইভেট টিউটর জানায় ভিকটিম তার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় নি। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমকে খোজাখুজির জন্য বের হলে সাতাইশকাটি মোড় নামক স্থানে পৌছে ভিকটিমের ব্যবহৃত সাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখে। একজন পথচারী অপহরণের বিষয়টি দেখতে পায় এবং ভিকটিমের পরিবারকে জানালে তারা নিশ্চিত হয় যে, ভিকটিমকে গেফতারকৃত রাকিবুল এর নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, যশোরে গ্রেফতারকৃত রাকিবুল, পলাতক আসামি মিলন ও তানভীরসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন এর বিরুদ্ধে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করলে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অবস্থান শনাক্ত করে ২৬/০২/২০২৪ তারিখ ১৭৩০ ঘটিকায় ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক অপহরণ চক্রের মূলহোতা রাকিবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর এবং গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন