নিজস্ব প্রতিবেদক★
কুমিল্লার তিতাসে বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করা নিয়ে দুই পুত্র বধুদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে শ্বশুর আব্দুল হাকিম (৭০) নামে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট )রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।আব্দুল হাকিম ওই গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
পুলিশ এঘটনায় বড় ছেলের স্ত্রী লাভলি আক্তার(৩৬),দুই মেয়ে মহিমা আক্তার(১৯), ফাতেমা আক্তার(১৬)কে গ্রেপ্তার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুল হাকিমের দুই ছেলে তিন মেয়ে।ছেলে মিজান ও খোকন দুজনেই প্রবাসী।শনিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির উঠান পরিষ্কার করা নিয়ে দুই ছেলের বউ ঝগড়া লাগে। ওই ঝগড়া থামাতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন আব্দুল হাকিম। স্থানীয়রা তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফখরুল ইসলাম বলেন, তিতাসে দুই ছেলের বউয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে শ্বশুরের রহস্য জনক মৃত্যু। রাত আনুমানিক ৯টায় আবদুল হাকিম নামের এক বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর বড় ছেলের স্ত্রী লাভলি আক্তার,দুই মেয়ে মহিমা ও ফাতেমা আক্তারকে গ্রামবাসী তাদের ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন।পরে তাদেরকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে গ্রামবাসী।
এঘটনায় ছোট ছেলে খোকনের স্ত্রী আহত সীমা আক্তার বলেন,আমার বড় জায়ের সঙ্গে বিকালে উঠান পরিষ্কার করা নিয়ে ঝগড়া হয়, পড়ে আবার রাতে আমার জা লাভলী আক্তার ও তার দুই মেয়ে এসে আমাকে এবং আমার মেয়েকে মারধর করে। আমার শ্বশুর দেখে তাদের থামাতে গিয়ে পড়ে যায়,এর পর কি হয়েছে আমি দেখিনি।
নিহতের বড় মেয়ে শেফালি আলম বলেন, বাড়ির উঠান পরিষ্কার করা নিয়ে বড় ভাইয়ের বউ মেয়েরা ছোট ভাইয়ের বউ মেয়েকে মারতেছে। এ ঝগড়া থামাতে গিয়েই বাবা মারা যায়।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন,নিহতের বড় মেয়ে সেফালী আলম বাদি হয়ে ৪জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এঘটনায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন