1. editor.dso@gmail.com : admin :
  2. shirsoaparadhnews@gmail.com : দৈনিক শীর্ষ অপরাধ : shirso Aparadh
  3. maria.sgbd@gmail.com : Saiful : Saiful
  4. info.editor.dsa@gmail.com : Mahfuz Sarker : Mahfuz Sarker
ভুয়া ডাক্তার আলমগীর হোসেন সিদ্দিকীর প্রতারণার ফাঁদে অসংখ্য রোগী - দৈনিক শীর্ষ অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন রাত ৪:০৩ ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
হিজলায় মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। কাতারে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো বাংলাদেশ আমতলীতে এতিমখানায়, ৪ সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মাহমুদুল হাসানের অবৈধ নিয়োগ নেপালের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার রাজস্থলীতে বিমাছড়া পাড়ায় পানি সংকট দূর করলো সেনাবাহিনী গাইবান্ধায় মহিলা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।। সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক ও যুবলীগ নেতা মনির (আলাল-দুলাল) দুই ভাই বেপরোয়া। পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, সামুদ্রিক শৈবাল থেকে, তৈরি হচ্ছে দেশ বিদেশের পুষ্টিকর খাবারসহ নানান প্রসাধনী।।

ভুয়া ডাক্তার আলমগীর হোসেন সিদ্দিকীর প্রতারণার ফাঁদে অসংখ্য রোগী

  • Update Time : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৩৩৪ Time View

সামিমা ইসলাম:

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকায় চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ংকর প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তি। নিজেকে ‘ডাক্তার’ দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। তবে নামের আগে ‘ডা.’ উপাধি ব্যবহার করে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

আলমগীর হোসেন নিজেকে “শিফা গ্লোবাল ট্যুরিজম লিমিটেড” এবং “শিফা হাসপাতাল”-এর চেয়ারম্যান দাবি করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডগাইর মিলন রোড হোল্ডিং নং ১৮৬/১/এ উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো বৈধ সাইনবোর্ড নেই। একটি জরাজীর্ণ কক্ষে বসে বিভিন্ন অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ মজুদ করে সেখানে তিনি রোগী দেখছেন।

ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখিত ঠিকানা “১৫৩ ক্রিসেন্ট ইনক্লেভ, গ্রীন রোড, কলাবাগান, ঢাকা ১২০৫” কিংবা থাইল্যান্ডের “১৭১ এম্বাসেডর হোটেল, সুকুমভিত সোই ১১, ব্যাংকক”—কোনোটিই বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ তিনি রোগীদের বলেন, ব্যাংককে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হবে, কিন্তু পরে বলেন এখানেই চিকিৎসা সম্ভব। এতে রোগীরা প্রতারিত হয়ে লাখ লাখ টাকা।

তথাকথিত এই ডাক্তার নিজেই আল্ট্রাসাউন্ড, ইউআরও পরীক্ষা ও গর্ভপাত (MR) করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, অ্যানেসথেশিয়া বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটান, যা নারীদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। পাশের একটি কক্ষে কোনো অনুমোদন ছাড়াই অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনও চালান বলে জানা যায়।

অনুসন্ধান করতে সংবাদকর্মী চেম্বারে উপস্থিত হয়ে তথ্য চাইলে আলমগীর হোসেন উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং এক রোগীর আত্মীয়কে মারতে উদ্যত হন। সাংবাদিকরা তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি সরাসরি তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) এর তথ্য অনুযায়ী, তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ডি-১৩৭৬৯ এবং তিনি একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মাত্র। তবুও তিনি নিজের পরিচয়ে ডাক্তার ও সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে দাবি করে আসছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে তার এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, “এই ব্যক্তি নিজেই রোগ নির্ণয় করেন, নিজেই পরীক্ষা করেন, নিজেই ওষুধ লেখেন এবং বিক্রিও করেন। এত বড় প্রতারণা দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

একজন রোগীর স্বজন বলেন, “উনি যদি আসল ডাক্তার হন, তাহলে তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন দেখাতে সমস্যা কোথায়?”

একজন ভুয়া ডাক্তার কীভাবে বছরের পর বছর এমন ভয়ঙ্কর প্রতারণা করে চলেছেন তা এখন প্রশাসনের জন্য বড় প্রশ্ন। জনস্বাস্থ্য ও রোগীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ এবং এই ধরনের ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জনজীবন রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

খবরটি ভাল লাগলে লাইক-শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

More News Of This Category
Theme Customized By Diggil Agency
Verified by MonsterInsights