মনির মিয়া: সিনেমার গল্প নয়, বাস্তব ঘটনা—অসাধারণ বুদ্ধিমত্তায় হত্যা মামলা মিথ্যা প্রমাণ করলেন পুলিশ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান
সিলেটের ওসমানীনগরে নিখোঁজের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার নাটকীয় সমাপ্তি ঘটেছে। দাফনের ১৭ দিন পর কিশোর নাঈমকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালা বাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা কনাই মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম নাঈম (১৭) স্থানীয়ভাবে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। রেস্টুরেন্টটির মালিক বগুড়া জেলার বাসিন্দা বুলবুল ফকির।
গত ২৪ জুলাই হঠাৎ করে দোকান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় নাঈম। বিষয়টি পরিবারকে জানান রেস্টুরেন্ট মালিক। খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে নাঈমের পরিবার ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
অপরদিকে ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নাঈমের পরিবার গিয়ে লাশ শনাক্ত করে এবং সেটিকে নাঈম বলে দাবি করে। পরে ৫ আগস্ট লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফনও সম্পন্ন করা হয়।
এই ঘটনার পর নাঈমের পরিবার বগুড়ার বাসিন্দা রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল ফকিরকে প্রধান আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর।
এসআই মুস্তাফিজুর রহমান মামলার তদন্তে নেমে প্রধান আসামি বুলবুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। তবে মামলার বিভিন্ন ক্লু বিশ্লেষণ করে তিনি ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান হন। অবশেষে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ২৩ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে নানা বাড়ি থেকে জীবিত অবস্থায় নাঈমকে উদ্ধার করেন।
পুলিশের এ সাফল্যে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একটি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন ও দাফনের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী ঘটনা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন