রাজশাহীপ্রতিনিধি: রাজশহী মহানগরীর শিক্ষা বোর্ড মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের পশ্চিম পার্শ্বে গোষ্ট রাইডারজ স্টেশনে অবস্থিত এসিআই মোটরসাইকেলের অনুমোদিত ইয়ামাহা শোরুমে পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্য দ্বারা কাস্টমার সার্ভিস বন্ধ এবং শোরুমে কর্মরত অফিসার /কর্মচারীদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠে শাহমুখদম থানার এসআই মতিন ও এসআই জাহিদ সহ আরো দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
গত ০৭/০৫/২০২৪ সময় বিকাল ৫:২৩ মিনিটে পুলিশের পোশাক পরিহিত নেমপ্লেট সংযুক্ত এসআই মতিন এবং পোশাকে এসআই জাহিদ সহ আরো ৩/৪ জন পুলিশ সদস্য এসিআই অনুমতিতে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল শোরুমে প্রবেশ করে আক্রমনাত্ম্য ভাবে ত্রাশ সৃষ্টি করে এবং ক্ষিপ্রো স্বরে বলেন এই বেটারা শোরুম বন্ধ কর,কোন লোক বাইরে যেতে পারবে না,হোন্ডা বিক্রি বন্ধ। উভয় এসআই এর কৃতকর্ম দ্বারা স্বনামধন্য ইয়ামাহা মোটরসাইকেল শোরুম এর অহেতুক বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখায় প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্নসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি টাকার মোটরসাইকেল ছিল এবং প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর বার্ষিক ১০ লাখ টাকা সরকারকে ভ্যাট দিয়ে আসছে।
এমন তো অবস্থায় এসআই মতিন ও জাহিদের নেতৃত্বে তার পুলিশ বাহিনী গোষ্ট রাইডারজ স্টেশনে শোরুম বন্ধ করতে আসে অথচ তাদের কাছে শোরুম বন্ধের কোন অভিযোগ ছিলনা তারা নিজেরাই ডেসপারেট হয়ে হঠাৎ শোরুমে প্রবেশ করে এবং কর্মচারীদের উপর ত্রাস সৃষ্টি করে জবাবদিহির মুখে ফেলে এবং তারা নিজেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে শোরুমের শাটার ফেলে শোরুম বন্ধ করে তালা মেরে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় । জনমনে প্রশ্ন ওঠে জনগণ সে সময় পাশের শোরুমে গাড়ি দেখতে যায়। এসআই মতিন ও জাহিদ বলেন, তোদের মালিক ও তার ছেলেকে আমার সামনে হাজির কর নইলে শোরুম বন্ধ থাকবে এমন অবস্থায় কর্মচারীরা শোরুম বন্ধ করে মালিকের বাড়ি যায় সাথে থাকা কর্মচারীরা একজন অফিসারকে এবংএসআই মতিন কে বলেন আপনাদের যদি তল্লাশি করার সার্চ অরেন্ট থাকে তাহলে আমাদেরকে সেটার কপি দেন,নাহলে আপনি যে তল্লাশি করতে আসছেন কি কি পেলেন,সে তথ্য আমাদেরকে দেখান কর্মচারীদের কিছুই দেখায়নি পরবর্তীতে শোরুম বন্ধ রেখেই তারা চলে যায়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪/০৫/২৪ইং তারিখে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের একজন বাদী হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, অভিযোেগর কপি মাননীয় আইজিপি পুলিশ,পুলিশ বাংলাদেশ হেডকোয়ার্টাস, পুলিশ কমিশনার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবর তারা অভিযোগ দায়ের করেন এসআই মতিন ও এস আই জাহিদের কারণে তাদের ব্যবসার সুনাম নষ্ট হয় এবং তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে শাহ মখদুম থানা অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি বিষয়ে অবগত আছি যদি তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ সাব্যস্ত হয় আইন আইনের নিয়মে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
মন্তব্য করুন