সাইমুল ইসলাম রাজু : গত ২০ আগস্ট আদাবরে শেখ হাসিনা সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা ৫ই আগস্ট সোহেল রানা নামের পোশাক শ্রমিককে গুলি করে হত্যার দ্বায়ে বাঁদি ইব্রাহিমকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য থানায় নিয়ে বাধ্য করা সহ হত্যার হুমকি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায়, আদাবর থানার সুনিবিড় হাউজিং এর একটি ভাড়া বাসায় পোশাক শ্রমিক সোহেল রানা পরিবারের সাথে থাকতেন। ৫ই আগস্ট বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সময় বাসা থেকে বের হলে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এর ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সফল বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট হত্যার শিকার সোহেল রানার ভাই খলিল বাদী হয়ে আদালতে শেখ হাসিনা সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার মামলার আবেদন করলে আদালত আদাবর থানাকে মামলা এজহার করার জন্য আদেশ দেন। মামলা করার পর থেকেই বাদি ইব্রাহিম কে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল আওয়ামী লীগের কিছু গুন্ডারা তাতেও ইব্রাহিম মামলা তুলে না নিলে গত ২২ অগাস্ট প্রকাশ্যে জোর করে তাকে ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে যান আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি প্রার্থী ইয়াসিন মোল্লা তার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা, কসাই শহীদ, আদাবর থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হোসেন জীবন ওরফে লেদু হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বাবুল আদাবর থানায় নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য জবরদস্তি করেন সেই সাথে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিষয়টা আঁচ করতে পারলে আওয়ামী লীগের দুজনকে ধরতে সক্ষম হলেও ইয়াসিন মোল্লা বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন জীবন ওরফে লেদু হাসান এবং মাসুম বাবুল পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
অভিযোগের সততা নিয়ে বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে হাসিনা সহ ২৫ জনের ভেতর মামলা করলে আমার উপর বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি আসতে থাকে। এমনকি আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও বারবার দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে তোর ভাইকে যেভাবে কুত্তার মত গুলি করে মেরেছি তোর পরিস্থিতিও একই অবস্থা হবে। তিনি আরো বলেন, আমার কষ্ট হচ্ছে আমি বিএনপির একজন সমর্থক হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করলে আমি বিএনপি নেতাদের কাছ থেকেই বেশি হুমকি-ধমকি পাচ্ছি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। বিএনপি’র কোন কোন নেতা হুমকি দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদাবর থানার যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হোসেন জীবন ওরফে লেদু হাসান, মাসুম বাবুল, কসাই শহীদ সহ আরো দুই তিনজন আওয়ামীলীগ থেকে টাকা খেয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে । আমার জীবন এখন হুমকির মুখে আমি আপনাদের কাছে আমি আশ্রয় চাই, আমি নিরাপত্তা চাই।
অন্যদিকে বাদির আইনজীবী সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন এবং বলেন, বাদি ইব্রাহিমকে থানায় নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাধ্য করার সময় আটক দুইজনকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করলে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত ।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে তাৎক্ষণিকভাবে আদাবর থানা বিএনপির সহ সকল অঙ্গ সংগঠন এলাকাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভে দাবি করা হয় অবিলম্বে এই মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা সহ যে সকল সন্ত্রাসীরা বাদীকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সহ উল্লেখিত বিএনপির যে সকল নেতা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ সহ প্রশাসনিক ভাবে তাদেরকে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান। বক্তব্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতার টাকার বিনিময় বিএনপির কর্মী পরিচয় দিচ্ছেন চিহ্নিত ঐ সকল কথিত নেতারা । দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে এই সকল ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন