1. editor.dso@gmail.com : admin :
  2. shirsoaparadhnews@gmail.com : দৈনিক শীর্ষ অপরাধ : shirso Aparadh
  3. info.editor.dsa@gmail.com : Mahfuz Sarker : Mahfuz Sarker
রাত ১২:১৩ ৯ই পৌষ, ১৪৩১ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪
Title :
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে যেয়ে বড় ভাই হারালেন নিজের প্রান নিখোঁজের দুই মাস পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী সহ পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু। গাইবান্ধায় প্রতিবন্ধীদের অধিকার,সুরক্ষা ও শনাক্তকরণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত।। প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ। ফারস গ্রুপের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন হুমায়ুন বন্যার্তদের জন্য ৬৫ লাখ টাকা প্রদান। বিরামপুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ক লিচু সংশয়ে জীবনের ঝুঁকি আইডিআরএ’র নতুন নেতৃত্বের সাথে বীমা মালিকদের মতবিনিময় সভা চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে থেমে থাকা জাহাজে মিলল পাঁচজনের মরদেহ মৌলভীবাজারে সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জের নামে  চলছে অবৈধ হুন্ডির রমরমা ব্যবসা। ফারইষ্ট লাইফ এর ঢাকা বিভাগীয় জোন ইনচার্জ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার অভিষেক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ,নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘যমুনা রেল সেতু’। ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার : শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ৩৭ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

মনির-সলু সিন্ডিকেট এখন কোন পথে !!

  • Update Time : শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
  • 133 Time View

আহম্মেদ শাকিলঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর এলাকাতে অপরাধ জগতের বিশাল এক সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছিল। ডিএনসিসি এর ২৯ নং এর ওয়ার্ড কমিশনার সলিমুল্লাহ সলুর নেতৃত্বে। যার প্রধান সহযোগী ছিল ঢাকা উদ্যানের শীর্ষ সন্ত্রাসী মনিরুজ্জামান মনির। এবং বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগীতা করতো ডিএনসিসি এর ৩৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব। ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুনে প্রায় ৩০০ দোকান পুড়ে যায়। এই ঘটনায় অনেকেই সলুকে সন্দেহ করছে। পরবর্তীতে মার্কেট পুননির্মানের অনুমোদন না পেলেও ভবন তৈরীর কাজ শুরু করে সলু প্রভাবশালীদের সম্বনয়ে। ক্ষতিগ্রস্থরে সামনে রেখে ৩০-৪০ লাখ টাকায় দোকান বরাদ্দ পাওয়া যাবে এবং মার্কেটের আশেপাশের দোকানের জন্য ৫০ হাজার টাকায় দোকান বরাদ্দের আশ^াসে চাঁদাবাজি শুরু করে। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মোহাম্মদপুর বছিলা এলাকায় সুজন নামক একজনকে হত্যার অভিযোগে ১লা সেপ্টেম্বর আটক হয় সলু। এরপরই কাটাশুর এলাকার বাসিন্দা বরকত মার্ডারের প্রধান আসামী বর্তমানে জামিনপ্রাপ্ত শামীম বেপারী গোপনে পালিয়ে যায় সিঙ্গাপুরে। সলুর প্রধান সহযোগী মূর্তমান আতঙ্ক মনিরুজ্জামান মনির তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কাছে জিম্মি থাকতো ঢাকা উদ্যান সহ আশপাশের বাসিন্দারা এবং ব্যবসায়ীরা। সাবেক কমিশনার সলুর সাথে পারিবারিক সম্পর্কের কারনে সিন্ডিকেট করে, বিভিন্ন সাধারণ মানেুষের জমি দখল, বাড়ী দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও বিআইডবিøউটিএ এর জমি দখল এর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানা ও আদালতে প্রায় ৮০ টি মামলা ও সাধরণ ডায়েরী (জিডি) রয়েছে। কয়েকবার গ্রেফতার হয় এই কালা মনির বা আমেরিকান মনির অ¯্র ও ইয়াবাসহ। বেশ টাকা পয়সা খরচ করে ও প্রভাব খাটিয়ে আইনের ফাঁক ফোকরে দীর্ঘ সময় জেলে রাখা সম্ভব হয়নি এ দুধর্ষ মনিরকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজি, বাড়ীদখল, ভাংচুর, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগসহ ৭৫ টির বেশী মামলা জিডি রয়েছে। ঢাকা উদ্যান, একতা হাউজিং, তুরাগ হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, শ্যামলী হাউজিং, রাজধানী হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, গ্রীনসিটি, মোহম্মদপুরের শেখের টেক
ও বেড়িবাধ সংলগ্ন প্রায় ১০ টি হাউজিং প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্লট দখলের অভিযোগ এই সন্ত্রাসী মনিরের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময়, সাবেক কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব আটক হলেও আমেরিকায় পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করে এই সন্ত্রাসী মনির। ২০১৭ সালে প্রথম গ্রেফতার হয় মনির মোহাম্মদপুর থানায় একটি চাদাঁবাজী মামলায়। জামিন পেয়ে ২০১৭ সালেই দখলদারিত্ব বাড়াতে গেলে ৩৩ নং ওয়ার্ডের তখনকার কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীবের সন্ত্রাসীদের সাথে গুলি বিনিময় হয় সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু মনির বাহিনীর সাথে। পরে সমঝোতার মাধ্যমে দুই বাহিনীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে মনির ও রাজীবের মধ্যে। এর পর থেকে রাজীব ও মনির বাহিনী একযোগে নামে বেড়ীবাধ এলাকায়। স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীরা জানায় মনিরের বাগান বাড়ীতে ছিল একটা ভয়ংকর টর্চার সেল। টর্চারের সময় উচ্চ ভলিউমে গান বাজানো হতো সাউন্ডবক্সে। আওয়াজ বাহিরে না যাওয়ার জন্য।


২০১৬ সালে ঢাকা উদ্যানে বালুর ঘাট দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মনির বাহিনীর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয় হাজী বরকত উল্লাহ্র আজহার এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সুবল চন্দ্র দাশ, রুহুল আমিন, পাটোয়ারী, ইয়ামিন, রন্ধন কর্মী খান। দফায় দফায় মারধোর করা হয় তাদেরকে। সুবল চন্দ্র দাশকে জোড় করে মুসুলমানী করে দেওয়ার হুমকী দিয়ে কলেমা পড়তে বাধ্য করে যা সেসময় জনকণ্ঠ পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হয়। ভুক্তভোগীরা আরও জানায় লাঠি, চাপাতি, দা, গজারি দিয়ে তাদের উপর আঘাত করা হয়। ভীতি প্রদর্শনের সময় মনিরের অস্ত্রধারী বাহিনীর মধ্যে হুমায়ূন, হোসেন, শাহাবুদ্দীন, শাহিন, মাহিন, আকবর, সুলতান, ফালান, শুভ, ওলী ও ম্যানেজার আনোয়ার মাসুদ উপস্থিত থেকে নির্যাতনের মাত্রা পরিচালনা করে। ২০১৩ সালে প্রথম মনির বাহিনী ঢাকা উদ্যানে বালুর ঘাটে জমির মালিকানা দাবি করে একের পর এক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে হটিয়ে টিন ও বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মান করে দখল বাণিজ্য শুরু করে। ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিয়া হোসেন, মাইদুল, আমজাদ, রেজাউল, জয়নাল, আয়নাল, মফিজ, আব্দুল হালিমসহ অনেকে গোপনে মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। যে কেউ তার কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করলেই নেমে আসতো শাস্তির খড়গ।
কাজী আশরাফ আল কাদীর নামের এক ভুক্তভোগী জানান ২০১১ সালে ঢাকা উদ্যানের ডি বøকে সাড়ে ০৬ কাঠার ৫৪ নং প্লটের দোতলা বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন, এর মধ্যেই মনির তার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় মনির জাল দলিল তৈরী করে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বাড়ীটি দখলে নিয়ে নেয়। এ বিষয়ে সে সময় মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেও সুফল পাননি। দখলের পর আদালতে মামলা করেন এ ভুক্তভোগী আজও আলোর মুখ দেখেনি। পূর্বের সরকারের প্রভাব বিস্তার করে এসব করতো বলে জানান তিনি। এখন গণমুখী সরকার দেশের দায়িত্ব নেওয়ায় এ ভুক্তভোগী নিজ বাড়ী দখল নেওয়ার বিষয়ে বেশ আশাবাদী।
একইভাবে অন্য ভুক্তভোগী কে এম মোস্তফা নাজিম ২০০৩ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর ঢাকা উদ্যানের সি বøকে ১ নং সড়কে ২নং প্লটে ২.২৫ কাঠা জমি ক্রয় করে। বাড়ীর পানির বিল, বিদ্যুৎ বিল, হোল্ডিং টেক্স নিয়মিত পরিশোধ করে আসছিলেন এবং এরই মধ্যে বহুতল বাড়ী নির্মানের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করার পরপরই মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করবার পরপরই মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী জোরপূর্বক কাজ বন্ধ করে দেয় এবং মুখ খুললে বা প্রতিরোধের আগ্রহ দেখালে পুরো পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মোস্তফা নাজিম জানায় ২০ আগস্ট ২০২০ সালে রাত প্রায় ৯ টার সময় ৩০-৪০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে কালা মনির আমার প্লটে এসে আমার সাথে থাকা লোকজনকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। আমাদের সবার মোবাইল ফোন জোরপূর্বক নিয়ে নেয় এবং আমাদেরকে ব্যারিকেড দিয়ে বসিয়ে রেখে টিন ও বাস দিয়ে প্লটের চারিদিকে বেড়া নির্মাণ করে, শাকিল নামের একজনকে মালিক বানিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় এবং আমাকে কঠোর হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আমি মামলা করার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ প্লট আমার নয় বলে জানায়। পরবর্তীতে ৫ই নভেম্বর অন্য মামলায় সন্ত্রাসী মনির গ্রেফতার হলে আমি তাৎক্ষনিক প্লটে গিয়ে নিজের সাইনবোর্ড লাগিয়ে পুনঃদখলের চেষ্টা করি কিন্তু মনিরের কুক্ষ্যত ক্যাডার বাহিনী সেই সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করে আবার তাদের দখলে নিয়ে নেয়। অসহায় মোস্তফা নাজিম জানায় বিভিন্ন মানুষের জমি দখল, বাড়ী দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, বিআইডবিøউটিএ এর জমি দখল বাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশের আইজিপি, ঢাকা পুলিশ কমিশনার এর কাছে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ঢাকা উদ্যান এলাকাবাসীর কাছে মূর্তমান আতংক এ মনির, তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কাছে জিম্মি এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। সেসময় গ্রেফতারের পর এ কালামনির অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড আবেদন পাঠিয়েছে আদালত। শুনানী শেষে মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালত তোফাজ্জল হোসেন অস্ত্র আইনে ৩ দিন ও মাদক মামলায় ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে কালা মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী তার অবৈধ কাজগুলোর তদারগি করে যাচ্ছে মনিরের মা সাবিয়া বেগম সহ। পরিশেষে আমাকে আপোষনামার প্রস্তাব দেওয়া হয় ৩০০ টাকার স্টাম্পে, ওদের লিখিত আপোষনামায় । যাতে বিভিন্ন মেয়াদে ৪০ লক্ষ টাকা মনিরকে প্রদান করার শর্ত থাকে। এ বিষয়ে কোনপ্রকার সংবাদ-সম্মেলন বা আইন আদালত করা যাবে না বলেও উল্লেখ থাকে। শর্ত নামার কপিটি এ প্রতিবেদকের কাছে হস্তগত হয়েছে। ভুক্তভোগী নাজিম জানায় অনেকটা বাধ্য হয়ে চুক্তি নামায় সহি করে শর্ত মোতাবেক ০২/১১/২০২২ তারিখ নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ২৯/১২/২০২২ ২০ লক্ষ টাকা (যা মনিরের মা সাবিহা বেগমের প্রাপ্তি সাক্ষরসহ) এবং ১১/০৬/২০২৩ সালে ১ লক্ষ টাকা (যা মনির নিজে প্রাপ্তি সাক্ষর করে) মোট ৩১ লক্ষ টাকা প্রদান করি। বাকি ৯ লক্ষ টাকা প্রদানের জন্য বিভিন্ন্ মাধ্যমে পীড়াপিড়ি করতে থাকে। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গত ০৫/০৮/২০২৩ তারিখ সরকার পতনের মাধ্যম জনগনের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। এতেই মনির বাহিনীর অনেকেই ভীত হয়ে গা ঢাকা দেয় এবং আড়াল থেকে অপরাধমুলক কাজগুলো পরিচালনা করে। আমি এবং আমার মত ভুক্তভোগীরা জনগনের সরকার কায়েম হওয়ায় আশার আলো দেখছি এবং যার যার জমি ফেরত পাওয়ার আশা করছি। আমার কাছ থেকে নির্যাতন করে নেওয়া জোরপুর্বক ৩১ লক্ষ টাকাও ফেরত চাচ্ছি।
আরেক ভুক্তভোগী হাজি বরকত উল্লাহ্ জানান ২০১৫ সালে সন্ত্রাসী মনিরের নের্তৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান ইট-বালু ব্যবসায়ী ও সমবায় সমিতিতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। একই সময়ে সেখানে অবস্থিত ৮ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের গদি ভাংচুর করা হয়। এসব গদিতে প্রায় ৪০ জন মালিক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। এছাড়া ২০১৬ সালে একই কায়দায় আজহার এন্টাপ্রাইজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভুয়া নিলামের কাগজ দেখিয়ে, সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী দিয়ে কয়েক ট্রাক ইট, বালু সরিয়ে নেয় মনির। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মনির, অথচ এ সন্ত্রাসী মনির এক রাতেই তার গদির বালু ও পাথর লুট করে তারই বাজারের কাছে রাখে। এরপর আড়াই লক্ষ টাকার বালু ও পাথর আবারও লুট করা হয়। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ায় তা ফেরত পেলেও বাকি ৬০ লক্ষ টাকার মাল আজ অব্দি পাননি। এমনকি এ বিষয়ে মামলা করার সুযোগও পাননি বলে জানান। তুরাগ নদের তীর ও ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গা দখল করে প্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গার উপর বাগান বাড়ী গড়ে তোলে এ সন্ত্রাসী। বাগানবাড়ীর কিছু জায়গা সরকারি, এর কারণে বিআইডব্লিউটি এ একবার উচ্ছেদ করলেও ফের সেটি দখলে নেয় ভূমিদস্যু মনির। এ বাগানবাড়ীতে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি টর্চার সেল হিসেবেও ব্যবহার করে মনির। বাগানবাড়ী তৈরী করতে মূলত স্থানীয় জমসু হাজী, কালাচান ও আবু সাঈদ বেপারীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ভূমিখেকো সন্ত্রাসী মনির। সেই দখলী জমিতেই তৈরী করে সুইমিংপুল, মিনি চিড়িয়াখানাসহ বিনোদন স্পট। আদাবরের স্থায়ী বাসিন্দা জহিরুল ২০০৭ সালে জমি কিনে বসবাস শুরু করলেও সন্ত্রাসী মনিরের গুন্ডাবাহিনী অস্ত্রের মুখে জোর করে দখল নিয়ে নেয় বাড়ীটি দুই ভাইয়ের নামে শ্যামলী হাউজিংয়ের একটি প্লট কিনে বসবাসের জন্য টিনসেডের বাড়ী নির্মানের পরও ২০১৩ সালে মনির বাহিনীর দাপটে আজও বাড়ীটি হাতছাড়া। এ ব্যপারে আদাবর থানায় প্রথমে জিডি ও পরে আদালতে মামলা করে আজও নিষ্পত্তি হয়নি। আরেক ভুক্তভোগী হেদায়েতুল্লাহ্ ঢাকা উদ্যানে তার পৈত্রিক জমিতেও বসবাস করতে পারেনি সন্ত্রাসী মনির বাহিনীর দখল বাণিজ্যের কারণে ভুক্তভোগীর ছেলে হেমায়েত উল্লাহ্ প্রিন্স জানায় রোড নং ঃ ১, প্লট নং ঃ২৪, ব্লক ঃডি তার বাবার পৈত্রিক সম্পদ কিন্তু গত ১৬/০৮/২০২০ সালে রাত প্রায় ০৮ টার সময় ৫০-৬০ জন সশস্ত্র লোক নিয়ে তাদের বাড়ীতে আক্রমণ করে চরম নির্যাতন করে পরিবারের সদস্যদের এবং দাবি করে ২৫ লক্ষ টাকা। তাৎক্ষনিক টাকার সংস্থান না থাকায় আমাদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আপোসনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে যাতে উল্লেখ থাকে ২ কিস্তিতে ১৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রাণের ভয়ে শর্ত মোতাবেক প্রথম কিস্তির ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। এরই মধ্যে সরকার পরিবর্তনে সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দেয় এখন আড়াল থেকে পরবর্তী কিস্তির ৫ লক্ষ টাকা প্রদানের তাড়া দিতে থাকে। কিন্তু আমাদের কথা হলো সন্ত্রাসীদের যেহেতু কোন দল নেই এবং বর্তমানে নাগরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত তাই আমি পরবর্তী সন্ত্রাসী কিস্তি পরিশোধ না করে আমার পূর্বের দেয়া ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চাই এবং নিজেদের পৈত্রিক ভূমিতে নিরাপদে বসবাস করতে চাই। ঢাকা উদ্যানবাসীর প্রত্যাশা বর্তমান সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সমাজের কাছে, আমরা নিরাপদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ চাই। আর কোনো ভুক্তভোগী যেনো এ সন্ত্রাসের কবলে না পড়ে।

খবরটি ভাল লাগলে লাইক-শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012- 2024

Theme Customized By Diggil Agency
Verified by MonsterInsights