যশোর জেলা প্রতিবেদক : যশোরের অভয়নগরে প্রতিবন্ধী ভ্যানচালক লিমন শেখ (২৬) হত্যাকাণ্ডের ক্লুলেস মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
গত ১১ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন লিমন শেখ। পরদিন সকাল ৬টার দিকে শংকরপাশা গ্রামের একটি নির্জন জমিতে গলায় কাপড় দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবার জানান, ঘটনার সময় তার ভ্যান ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়। এ ঘটনায় লিমনের বাবা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত কার্যক্রম
ক্লুলেস মামলাটি উদঘাটনে অভয়নগর থানা পুলিশ একটি বিশেষ টিম গঠন করে। প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ২০ আগস্ট সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল থেকে মো. বিল্লাল হোসেন (২৭), পিতা-তারিকুল ইসলাম, সাং-শংকরপাশা, অভয়নগর কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল স্বীকার করে যে, ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে লিমনকে ভাড়া করে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে একাই শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গাছে বেঁধে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।
উদ্ধার ও গ্রেফতার
আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে:
তার বাড়ির মেঝে খুঁড়ে ভ্যানের বডি, চাকা ও যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
ফুলতলা ও অভয়নগরে অভিযান চালিয়ে ভ্যানের ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
চোরাই ব্যাটারি কেনাবেচায় জড়িত লিটন, আসানুর ও সঞ্জয় নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে নিহত লিমনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আসামি পথিমধ্যে ফেলে দেয়ার কারণে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
পুলিশের বক্তব্য
অভয়নগর থানার তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মূল হত্যাকারী ও সহযোগী আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন