মোস্তফা আল মাসুদ, বগুড়া।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত জান্নাতুল ফেরদৌস মিম স্নাতক পাস না করেই জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি করছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার ধুনট পৌরসভার পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবা সুলতানা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজ উদ্দিন। যথাযথ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও হাবিবা চাকরি পাননি।
তার অভিযোগ, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তফিজ উদ্দিন অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে জান্নাতুল ফেরদৌস মিমকে নিয়োগ দেন। পরে অনুসন্ধানে হাবিবা জানতে পারেন, মিম জাল স্নাতক (বিএসসি অনার্স) সনদ ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ ৯ মার্চ তদন্ত শুরু করেন এবং মিমকে সব শিক্ষা সনদসহ হাজির হতে বলেন। যাচাই-বাছাই শেষে দেখা যায়, মিমের এসএসসি ও এইচএসসি সনদ সঠিক হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডে তার বিএসসি সম্মান সনদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
রবিবার বিকেলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, মিম স্বীকার করেছেন তিনি ডিগ্রি পাস করেননি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে মিমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত জান্নাতুল ফেরদৌস মিমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত শুরুর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন