সোঁনারগাও প্রতিনিধিঃ
মা ও মেয়ের জঘন্য ব্যবসায় সঙ্গী হয়েছেন প্রসাশনথানায় গিয়ে অভিযোগ করলেই সেই অভিযোগ নেওয়া নিকটতম থানার কাজ। পরবর্তীতে এক অফিসার গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সাথে সত্যতার মিল পেলে তবেই অভিযোগ অথবা মামলাটি নিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু যদি এমনই হয় যে, আপনার সম্পর্কে বা আপনি কারও সম্পর্কে ভুল অভিযোগ করেছেন এবং সেটি বিনা তদন্তে মামলা অথবা বিনা তদন্তেই করছে হয়রানি।আড়ালের চোখ টেলিভিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরী করে দিনের পর দিন চলছে প্রতারণা ও জালিয়াতি। এই জালিয়াতির শিকার অনেকেই। ঘটনাস্থলে, বিভিন্নভাবে তদন্তে গেলে অনেকেই অনেক কথা বলেন ও অনেক ভুক্তভোগীর খোজ পাওয়া যায়। তার মধ্যে কিছু ভুক্তভোগীর গল্প আজ তুলে ধরা হবে যারা যোগাযোগ করেছেন আমাদের সাথে প্রমানসহ।আড়ালের চোখ ও পরে আড়ালের চোখ টেলিভিশন নামকরণ করে রাজপথ থেকে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ও পতনের আগ থেকে চিটাগংরোড টু নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া ও আদমজী টু কাচপুর রোড ও অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চালানো হয় । পরবর্তীতে ট্রাফিকের এক উর্ধতন কর্মকর্তা এর বাধা প্রদান করলে এবং রাস্তার জ্যামজট নিরসনে তার দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাকে বাধা প্রধান করে একটি অবস্থা তৈরী করে সাধারণ জনগণের কাছে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরী করে। জানা যায়, তিনি গিয়ে প্রশ্ন করেন, আমি সাংবাদিক উম্মে রুমা শিমু আড়ালের চোখ টেলিভিশন থেকে আমরা জানি মামলা বন্ধ তাহলে আপনি কেন মামলা দিচ্ছেন। এ নিয়ে ওই মহিলা তর্ক বিতর্কও করে। তবে, ঢাকা মহানগরসহ নারায়নগঞ্জের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে গত ২৫ জুলাই। এর পর ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ায় আত্মগোপনে চলে যায় সব ইউনিটের পুলিশ। এক সপ্তাহ পর গত ১২ আগস্ট রাস্তায় ফেরেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। সেদিন বিভিন্ন সড়কে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ছাত্র-জনতা। সড়কে ফেরার ১ মাস পূর্ণ হলেও রাতে ট্রাফিক পুলিশ থাকছে না রাজধানীর অনেক মোড়ে। এর পর থেকে সকল গণমাধ্যম’কে অবগত করে একটি বিশেষ প্রেস কনফারেন্স এর মাধ্যমে জানানো হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে মামলা চালু করা হয় রাজধানীর ও নারায়নগঞ্জের ট্রাফিক ব্যবস্থা’কে কন্ট্রোল করতে। কিন্তু, আড়ালের চোখ টেলিভিশন নামে মিথ্যা ও জালিয়াতির দ্বারা হয়রানির শিকার ট্রাফিক কর্মকর্তা ও অফিসারগণ। দৈনিক বর্তমান কথায় একটি নিউজ প্রকাশিত হয় যার সম্পাদকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে নি। কারণ, তারা প্রমান ব্যতীত কোনো সংবাদ প্রকাশ করেন না। এই মহিলা সাংবাদিক উম্মে রুমা শিমু ও তার সঙ্গী কহিনুর কথা কথিত মহিলা সাংবাদিক এর পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে লুটপাট ও জালিয়াতি। কিছু দিন আগে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রকাশিত একটি পএিকায় আসে তাদের নামে পতিতালয় চালানোর অভিযোগ। ঘটনার সত্যতা ও প্রতিবেদনে সত্যতা আছে কিনা গোপনে জানতে গেলে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এর এই ঘটনা ও তাদের বিরুদ্ধে কথা অভিযোগ সংবাদ সত্য। ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ও পাওয়া যায় কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, সম্পর্কে তারা মা ও মেয়ে। তবে, উচ্চ পদস্থ স্থানে একজন অপর জনকে ম্যাডাম বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। কাউ’কে জানতেই দেয় না তারা মা ও মেয়ে। তারা, মা ও মেয়ে এর নির্দিষ্ট প্রমান সহ এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আরও অভিযোগ উঠে আসে, সাহিদা(ছদ্মনাম) নামের এক মেয়ের সাথে উম্মে রুমা শিমু কন্যার (কহিনুর কনা) পরিচয় হয় আজ থেকে সাড়ে তিন মাস পূর্বে। সম্পর্কের কিছুদিন পর থেকে তারা খুব ভালো বান্ধবী হয়ে যায়। সাহিদার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, কহিনুর কনা তার মেয়েকে উল্টা পাল্টা বুজিয়ে বাড়ি থেকে নগদ ১০ লক্ষ্য টাকা সহ তার মেয়েকে বের করে আনে। তারা (সাহিদা ও কহিনুর কনা) ধানমন্ডি বাসা নেয় বলে জানান, সাহিদার মা। পরবর্তীতে জানা যায় একই এলাকার, পশ্চিম পাশে বাসা ভাড়া নেন সাহিদা। সাহিদা বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় বোন পরিচয় দেন (কহিনুর কনা) যার প্রমান স্বরুপ ওই বাড়ির বাড়িওয়ালার কল রেকর্ড রয়েছে। একই এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার বুদ্ধি দেন কহিনুর কনা কারণ ধানমন্ডি থাকলে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় তার (কহিনুর কনা) মায়ের অটো রিকশা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। মায়ের ম্যানেজার ও একাউন্টস এর কাজ করেন কহিনুর কণা।কোনো একদিন সাহিদকে একটি ছেলে পছন্দ করেন জানতে পারে কহিনুর কনা। ছেলেটি মোটামুটি ভালো টিকটকার। সেই ছেলেকে পছন্দ করে ফেলেন কহিনুর কনা। তারপর, সাহিদা যখন কোনো একদিন গোসলে যায়, বাথরুমে মোবাইল দিয়ে গোপন ভিডিও ধারন করেন কহিনুর কনা। সাহিদা’কে ব্লাকমেইল করেন কহিনুর কণা এবং বলেন সাহিদা’কে তাকে যে ছেলে পছন্দ করেন তাকে মানবপাচার এর অভিযোগে মামলা না দিলে সাহিদার এই সকল নগ্ন ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন সাহিদকে। এতে, সাহিদা ভয়ে, একটি অভিযোগ করতে নিকটস্থ থানায় গেলে কোহিনুর কণা তাকে থানায় না গিয়ে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। এর জন্য কোহিনুর কণা নিজের পরিচিত এক উকিল দিয়ে কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ওই ছেলের বিরুদ্ধে। এর কিছুদিন পরেই, সাহিদাকে আবারও বলেন অন্য একটি ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করতে। কিন্তু এতে সাহিদা রাজি না হলে তাকে ভয় দেখায়, ভিডিও আপলোড এর। একসময়, সাহিদা এতে অতিষ্ট হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। পরিবার থেকে দূরে থাকার কারণে পরিবারকে ও জানানোর সুযোগ হয় না। একসময় তিনি আত্নহত্যার চেষ্টাও করেন। যার মেডিকেল রিপোর্ট রয়েছেন সরকারি হাসপাতালের।
মন্তব্য করুন