সামিমা আক্তার:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার আলাদা আলাদা দুটি কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার ইউনিট শিক্ষা শিবিরের সভাপতিত্ব করেন পৌর আমীর আব্দুর রাজ্জাক শেখ এবং পরিচালনা করেন সহকারী সেক্রেটারি আল-আমিন শেখ। সদর উপজেলা ওয়ার্ড দায়িত্ব শীল শিক্ষা শিবিরে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলার আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান। উক্ত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পিরোজপুর জেলা শাখার সাবেক সংগ্রামী সভাপতি এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক শ্রমিক নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহিরুল হক। বিশেষ অতিথি তার বক্তব্য বলেন যুগে যুগে প্রত্যেক নবী রাসূলদের দ্বীন কায়েমের যে ত্যাগ কোরবানি রয়েছে ইসলামে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আর বিগত ১৬টি বছরের আমাদের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সকল জনশক্তি যে ত্যাগ কোরবানি করেছেন তা বাংলার ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাগানের মালি যেমন তার প্রিয় ফুলটি বাগান থেকে তুলে নেয়, ঠিক তেমনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল্লাহর জমিনে দ্বীন কায়েমের জন্য তার পছন্দের মানুষদেরকেই শহীদ হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। আমরা এই ১৬ বছরে সাবেক আমীরে জামায়াত শহীদ মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ,আ: কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী মিন্টু এবং কুরআনের পাখি শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রাহিমুল্লাহ সহ অসংখ্য দায়িত্বশীল এবং নেতাকর্মী কে হারিয়েছি।অনেকে এখন পর্যন্ত গুম আছে।আমাদের পিরোজপুরের কৃতি সন্তান আল মুকাদ্দাসকে এখন পর্যন্ত তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। আমরা বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন রাখবো যদি তারা জীবিত থাকে তাহলে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করুন,আর যদি জীবিত না থাকে তাহলে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দিয়ে পরিবারকে নিশ্চিত করুন।ওই সকল মায়েদের চোখের পানি আর যেন না পড়ে সে জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।আমরা আজ সরকারের কাছে সঠিক তথ্য চাই। তারা কোথায় আছে। তাদের অপরাধ কি ছিল? তাদের অপরাধ ছিল একটাই তারা একমাত্র আল্লাহর প্রশংসা করেছিলেন। এই আওয়ামী সরকার বায়বীয় মামলা দিয়ে আমাদের নেতা কর্মীদেরকে ফাঁসির মঞ্চে অন্যায় ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে । কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম?আমরা দেখলাম কোন দায়িত্বশীল ই এই ফাঁসি নিয়ে বিচলিত ছিলেন না তারা হাসিমুখে আল্লাহর সান্নিধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য ব্যস্ত ছিলেন এবং ফাঁসির রশি গলায় জড়িয়ে আল্লাহর রঙে রঙিন হয়ে শহীদ হিসাবে আল্লাহর কাছে হাজিরা দিয়েছেন। আমরা কি পারব এই সকল শহীদদের মত আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর আইন কায়েম করার জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে? প্রিয় কর্মী ভাইয়েরা এই সকল শহীদদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য আমাদেরকে আল্লাহর একজন দা’য়ী হিসাবে আল্লাহর এই জমিনে দ্বীন কায়েমের জন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলামের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।পিরোজপুরের মাটি শহীদ আল্লামার ঘাটি এটা বাস্তব ময়দানে প্রমান করতে হবে।আগামীর প্রজন্মের কাছে ইসলামের সু-মহান দাওয়াত পৌছে দিতে হবে।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পৌর নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি ইসাহাক আলী খান, বাইতুল মাল সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসাইন, সদর উপজেলার যুব বিভাগের সেক্রেটারি আলামিন ফকির সহ বিভিন্ন দায়িত্বশীলবৃন্দ।
মন্তব্য করুন