নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ডেমরা এলাকা আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকা হতে আনুমানিক ছয় কোটি টাকা মূল্যমানের, ৮৬০০ লিটার বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গতকাল ১৮ মে বিকাল আনুমানিক ১৬:৫০ ঘটিকায় র্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি ক্যামিকেল ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আনুমানিক ৬,০২,০০,০০০/- (ছয় কোটি দুই লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৩৪৪ (তিনশত চুয়াল্লিশ) টি নীল রংয়ের জারিকেন ২৫ লিটার করে মোট (২৫×৩৪৪)= ৮,৬০০ (আট হাজার ছয়শত) লিটার বিদেশী মদসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ দ্বীন ইসলাম (৪৮), পিতা-মৃত নূর ইসলাম, সাং-হাজী ওসমান গণি রোড, থানা-বংশাল, ঢাকা ও তার প্রধান সহযোগী ২। মোঃ আনিসুর রহমান রিপন (৫১), পিতা- মৃত ওয়াজেদ আলী আহম্মদ, মাতা- হাজেরা খাতুন, সাং- দরিবহর, থানা- মির্জাপুর জেলা- টাঙ্গাইল, এ/পি- বাসা নং- ০২, রোডনং- ০২, সেক্টর- ১০, থানা- উত্তরা পশ্চিম, ৩। আব্দুল হাদী (২০), পিতা- মৃত শামসুদ্দিন, মাতা- খালেদা বেগম, সাং- বাড়ী নং- ১/সি বেগমগঞ্জ লেন, দয়াগঞ্জ, থানা-গেন্ডারিয়া, ঢাকা, (ভাসমান) দেরকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত দ্বীন ইসলাম চীন থেকে পলি এ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামক পানি পরিষ্কার করার ক্যামিকেল আমদানি করে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি গোডাউন মজুদ করে রাখত। পরবর্তীতে সেগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত। উক্ত ব্যবসার আড়ালে দ্বীন ইসলাম ও তার প্রধান সহযোগী মোঃ আনিসুর রহমান রিপনসহ ৪-৫ জন মিলে স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একটি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। যার অংশ হিসেবে দ্বীন ইসলাম চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উল্লেখিত ক্যামিকেলের সাথে ক্যামিকেলের জারিকেনে করে কৌশলে বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ দেশে নিয়ে আসত। অতঃপর উক্ত মদ ডেমরা এলাকায় তাদের গোডাউনে মজুদ করে রাখত।
পরবর্তীতে উক্ত বিদেশী মদ দ্বীন ইসলামের সহযোগী মোঃ আনিসুর রহমান রিপন ও আব্দুল হাদী পলাতক মনু ও ফিরোজদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট সরবরাহ করত। প্রতিটি জারিকেনে ২৫ লিটার করে বিদেশী মদ থাকে এবং প্রতিটি জারিকেন ১,৭৫,০০০/- (এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকার বিনিময়ে তারা বিক্রি করত বলে জানায়। তারা আরো জানায় দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে চক্রটি ক্যামিকেল ব্যবসার আড়ালে প্রায় দেড় বছর যাবৎ এই মাদক ব্যবসায়ী পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়া গ্রেফতারকৃত দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অর্থ জালিয়াতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম. জে. সোহেল।
মন্তব্য করুন