পাপিয়া আক্তার:
রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বাসা নং ২২৫/ক দঃ বনশ্রী ওয়ার্ড নং ২ ব্লক সি মেরাদিয়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যু চাঁদাবাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার আমলে তৎকালীন প্রায় ১৬ বছর যাবত জমি দখল করে আত্মসাৎ করে রেখেছে বলেও জানা গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে মশিউর রহমান ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন। এবং একটি সাধারণ একজন পুলিশ কনস্টেবল হয়েও কিভাবে রাজধানীতে প্লট ফ্লাট সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন জানান স্থানীয়রা। আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাবেক (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে বলে জানা গেছে। এবং তার ছত্র চায় বিভিন্ন জায়গায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এবং ক্ষমতা অপব্যবহার করেছেন। সে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এই জমি বেদখোলের চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমি এই প্লটটি আমার ক্রয় করা সম্পত্তি। কিন্তু মশিউর রহমান ও তার সহযোগিরা প্লটে থাকা স্থাপনার ভাড়া চাইতে গেলে ভাড়াটিয়ারা জানায় যে, মশিউর রহমানের নির্দেশে প্রতি মাসের ভাড়া তার লোকজন তুলে নিয়ে যায়।”তিনি আরও বলেন, “গত ৪ জুন, ২০২৪ তারিখে আনুমানিক, দুপুর সাড়ে বারোটায় আমি আমার প্লটে গেলে সেখানে মশিউর রহমান এবং তার সহযোগী সোলাইমান হোসাইনসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত হয়। তিনি আরও বলেন আমি তাদের কাছে ভাড়া আত্মসাতের কারণ জানতে চাইলে তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং জানায় যে, প্রতি মাসের ভাড়া তারাই নেবে। শুধু তাই নয়, যদি আমি আমার জমিতে কোনো নির্মাণ কাজ করতে চাই, তাহলে তাদেরকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মশিউর রহমান আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।” উল্লেখ্য নকল দলিল তৈরীতে পারদর্শী চক্রটি কিছু ভূঁয়া দলিল ও স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দাপট দেখিয়ে উক্ত জমি দখল করে রেখেছে। মশিউর রহমানের সহযোগী হিসেবে, কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন রিনী পারভীন (৪৮), সোলাইমান হোসাইন (৪৫), রফিক (৪০) এবং বেলায়েত হোসেন (৫৮) যারা সকলেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মী এবং তাদেরে একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী আছে বলো জানা গেছে।
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মশিউর রহমানের সাথে মোটো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা হলো কে. এম. গোলাম কবিরের জায়গা। আমরা তার ৩য় স্ত্রীর কাছ থেকে ১০ কাঠা জায়গা কিনছি এবং তার ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিছু জায়গা নিছি। আমাদের কাছে জায়গার কাগজপত্র আছে। এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া তার সম্পত্তি ফিরে পেতে এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের ঊধর্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন