নিজস্ব প্রতিবেদক
ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এতে অন্তত দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও অন্তত পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আহত সাংবাদিকদের মধ্যে আছেন দৈনিক কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক জনি রায়হান ও আকরাম হোসেন, দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ও নিউজ প্রভাতের নিজস্ব প্রতিবেদক হুমায়ুন আহমেদ। এছাড়া, একই এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সময় টিভির চিত্রগ্রাহক রতন।
এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করায় আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত পাঁচ সাংবাদিক। একইসঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন আফসানা জুঁই ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আর বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপাচার্যের বাসভবনের কাছে অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুরে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজা পড়তে ব্যর্থ হয়ে ভিসি চত্বরে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর পর মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে যেতে শুরু করলে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আবার সূর্য সেন হলের সামনে এসে জড়ো হন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গায়েবানা জানাজা শেষে তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শুরু করেন। সেখানে পুলিশ হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ভিসির বাসভবন ও আশপাশের নিরাপত্তার স্বার্থে ভিসির অনুমতিক্রমে মিছিল ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন