নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এফবিসিসিআই এর আর্বিট্রেশন ট্রাইবুনাল এবং মহামান্য হাইকোর্ট এর আদেশ অমান্য করে সংস্থাটির গঠনতন্ত্রের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সমিতির একটি পক্ষ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও আপিল বোর্ড গঠন ছাড়াই নির্বাচন করেন।বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন কোম্পানির আইন দ্বারা গঠিত ও বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ ও বিধিমালা ১৯৯৪ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি বাণিজ্যি সংগঠন। এটি এফবিসিসিআইয়ের এ শ্রেণীভুক্ত একটি সংগঠন।
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ এর হাইকোর্ট ডিভিশন আর্টিকেল ১০২(২)(a)(ii) এ রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ নির্বাচন স্থগিতের এ আদেশ দেন। যার পিটি নাম্বার-২০০৪/২৫
গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ১০/৩, ইংলিশ রোড (২য় তলায়), বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এর প্রধান কার্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুলাল- মামুন প্যানেল মনোনয়ন কিনেছে ২০টি এবং মুঞ্জ জাহাঙ্গীর ফরহাদ প্যানেল মনোনয়ন কিনেছেন ১৯ টি। দুট প্যানেল থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন ১৮ জন।সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫০০ বেশি হলেও ভোটার সং্খ্যা মাত্র ৩৯ জন।
উল্লেখ্য ২৪ জানুয়ারী রবিবার নির্বাচনের ২০২৫ -২০২৭ দুই বছর মেয়াদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর এ এ রশায়নের আশিক সাহেব ফেডারেশনের আর্বিট্রেশন ট্রাইবুনাল এ ভোটার হওয়ার মামলা করেন। নির্বাচন বোর্ড উভয় সমান সমান শোনানির পর নির্বাচন স্থগিত করে নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠন করতে সমিতির কার্যনিবার্হী কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাচন বোর্ড গঠন করলেও আপিল বোর্ড গঠন করেনি। তফসিল খ এর ৯০% ভোটার ও নমিনির ট্রেডলাইসেন্স নাই।ভোটার হওয়ার জন্য শর্ত অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র এবং চাদা দেয়ার পর ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সমিতির বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ আর্বিট্রেশন মামলা করলে একই রায় দেয় অর্থাৎ নির্বাচন ও আপিল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেয়।
১১ ফেব্রুয়ারি মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন স্থগিত করে ফেডারেল ও আর্বিট্রেশন ট্রাইবুনালের কাছে পুর্ন শালিশি করে নির্বাচনের ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।তিনি জানান ৮ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় বে আইনীভাবে সভাপতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি আরও জানান নির্বাচন স্থগিত এর মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি সংযুক্ত করে বংশাল এবং কোতোয়ালি থানাকে অভিহিত করার পর ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩৯ ভোটার যার মধ্যে ২ গ্রুপে নির্বাচন পদ প্রার্থী ৩৬ জন। যা একটি প্রহসনের নির্বাচন। তিনি আরও জানান সংস্থাটি বর্তমান সভাপতিকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া যাহা গঠনতন্ত্রের নিয়ম নীতি বহিরভূত।
সরেজমিনে জানাযায়, নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হাজি রজব আলী, তার বড় ছেলে মো আকরাম হোসেন দুলাল সভাপতি প্রার্থী। নির্বাচন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সরেজমিনে না পেয়ে নির্বাচনের আগের দিন মুঠোফোনে কল দিলে শহিদুল ইসলাম এবং সিদ্দিকুর রহমান কেউ কল রিসিভ করেননি।পরে আকরাম হোসেন দুলাল সাহেব কে কল দিলে তিনি জানান হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ও নির্বাচন স্থগিত সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেনা।
মন্তব্য করুন