স্টাফ রিপোর্টারঃ
মাদককে না বলি এই শ্লোগানে চলছে সমগ্র বাংলাদেশ। দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট। তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদকের আধিপত্য সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে হারুন নামের এক ব্যক্তি।সঙ্গে রয়েছেন তার পুত্র।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, (বিশেষ সূত্র এলাকাবাসী দ্বারা) হারুন হচ্ছেন রূপগঞ্জ থানা দিন গোলাকান্দায় ইউনিয়নের বিএনপি স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা পরিচয়দানকারী। দিনের পর দিন প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদক ব্যবসায় চালিয়ে আসছে তিনি। সেই সাথে যোগ দিয়েছেন তার ছেলে। বাবা ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ রুপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড খালপাড়বাসী। এলাকাবাসী আরো জানান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বাবা ও ছেলে চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন অপকর্ম। এলাকাবাসীর দ্বারা জানা যায়, ইতিপূর্বে তার ছেলে একাধিক মামলার আসামি। আরো জানা যায়, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দিনের পর দিন মাদক ব্যবসায় ও অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলছে হারুনের। আইনের তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন চলছে এই মাদক ব্যবসায়। এলাকার সর্বসাধারণ ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন মাদক ব্যবসায়ী হারুন (বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পরিচয় দিয়ে) ও তার ছেলের কর্মকান্ডে। বিশেষ তথ্যের সূত্র তে জানা যায়,তার পেশা (হারুন) একজন ড্রাইভার। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছে তার এই মাদক ব্যবসায়। স্থানীয় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে প্রশাসনের সহায়তা না পেয়ে এলাকায় ফেস্টুন ও ব্যানার লাগায় হারুন এর বিরুদ্ধে। ৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের (শেখ হাসিনা) পর পলাতক থেকে সকলের সামনে আসে হারুন মিয়া। এর আগে তিনি (হারুন) পলাতক ছিল বলে জানান (ছদ্মনাম) হাফিজ মিয়া (৫৭) নামের এক বৃদ্ধ স্থানীয় ব্যক্তি যিনি ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। কিছু সময় পর পলাতক থেকে প্রকাশ্যে এসে, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি,লুটপাট, নৈরাজ্য ও অসহায়দের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া পূর্বে তার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বর্তমানে জমি দখলের কিছু অভিযোগ পাওয়া যায় এবং সকল প্রমাণ দেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী। তার (হারুন) ভয়ে সামনে আসতে রাজি নন স্থানীয় এলাকাবাসী। আরো জানা যায়, বাবা ও ছেলে তৈরী করেছে একটি কিশোরগ্যাং। এই কিশোরগ্যাং এর দ্বারা রাতে গার্মেন্টস কর্মীদের ছুটি হলে নিরিবিলি পেয়ে মোবাইল ছিনতাই করে তারা (কিশোরগ্যাং)। তাদের (কিশোরগ্যাং) মূল টার্গেট থাকে যারা গার্মেন্টসের নারী কর্মী৷ এ বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করতে এলাকার কিছু স্থানীয়দের সাথে কথা বলা হয় এবং জানা যায় ঘটনাটি বাস্তব। অনেক অসহায় গার্মেন্টস কর্মী হারিয়েছেন তাদের (কিশোরগ্যাং) দ্বারা লুটে নেওয়া কষ্টের অর্থ ও মোবাইল ফোন। জানা গিয়েছে, রুপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের খালপাড় এর এই বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছেন সার্কেল এসপিও। কেন প্রশাসন কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না জানার আগ্রহ স্থানীয় এলাকাবাসীর।
মন্তব্য করুন