দিনাজপুর জেলা প্রতিবেদক:ঃ
হাতে চুড়ি, কপালে টিপ, খোঁপায় গোঁজা ফুল। রঙিন শাড়িতে অপরূপ সাজে মেলায় জড়ো হয়েছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েরা। পছন্দের জীবনসঙ্গীর খোঁজে দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় হাজির হবেন তরুণ-তরুণীরা। পরস্পরের পছন্দ হলেই বেজে ওঠে সানাইয়ের সুর। প্রথমে আলাপচারিতা, তারপর অভিভাবকদের জানানো এবং শেষে ধুমধাম করে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন।
আজ ১৫ অক্টোবর দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসতে চলেছে পছন্দের জীবনসঙ্গী খোঁজার মেলা। ২০০ বছরের ঐতিহ্য মেনে প্রতিবারই বসে এ মেলা। সমাগম হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা তরুণ-তরুণীদের। একে অন্যকে পছন্দ হয়ে গেলে পারিবারিকভাবে ধুমধাম করে দেয়া হয় বিয়ে।সাধারণত দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরদিন এ মেলা বসে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি সনাতন ও ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষও উপস্থিত হন এ মেলায়.।স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, আগে মেলায় তরুণ-তরুণীরা পছন্দের মানুষ খুঁজে পেলে পরিবারের কাছে জানাতেন। পরের বছর মেলায় তাঁদের নাম-পরিচয় তুলে ধরে বিয়ের আয়োজন করা হতো। এখনো অনেকেই মেলায় ছেলেমেয়ের জীবনসঙ্গী খুঁজে পেলে হয়তো বিয়ে দেন। তবে আগের মতো বিয়েশাদির ব্যাপারগুলো এখন আর নেই। এরপরও ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন আয়োজকেরা।
যারা এখনো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাননি, দিনাজপুরকে চোখ বন্ধ করে শ্বশুরবাড়ি করে নিন। যৌতুক বা আইনি জটিলতাও নেই।
আছে কেবল একটি ছোট্ট সহজ শর্ত, তা হলো-পাত্র বা পাত্রী উভয়কেই আদিবাসী হতে হবে। কারণ এটি কেবল সাঁওতাল ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য।
মন্তব্য করুন