1. editor.dso@gmail.com : admin :
  2. shirsoaparadhnews@gmail.com : দৈনিক শীর্ষ অপরাধ : shirso Aparadh
  3. info196@noreply0.com : nellyowen232 :
  4. maria.sgbd@gmail.com : Saiful : Saiful
  5. info197@noreply0.com : salinadwm6175 :
  6. info.editor.dsa@gmail.com : Mahfuz Sarker : Mahfuz Sarker
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন বিকাল ৪:৪৪ ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ২৪শে মে, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
সোনার হরিণ দেখিয়ে নিঃস্ব করে দিচ্ছে ছুটি গ্রুপ! বেঙ্গল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ এর শুভ সূচনা হলো, শুভ সূচনা করলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট “আওয়ামী দোসর নার্সের কারখানা “ রিট খারিজ, ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই নির্ধারিত পশুর হাটের উদ্দেশে যাওয়া গাড়ি মাঝপথে থামালে ব্যবস্থা- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক ইলিয়াস, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে সাম্য হত্যার তদন্ত গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিখোঁজের দুই মাস পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

  • Update Time : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩২০ Time View

নিখোঁজের দুই মাস পর সাভারের আশুলিয়া থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রেহেনা পারভীন নামের এক নারীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ননদসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তবে অভিযুক্ত নিহতের স্বামী আওলাদ হোসেন নিখোঁজের পর অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের। 
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার পরে আশুলিয়ার মনোদিয়া চওরাপাড়া গ্রামের আসামি পাপিয়া আক্তারের নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রেহেনা পারভীন ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পাতিল গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী আওলাদ হোসেন ও পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রেহেনা পারভীনের মা নবাবগঞ্জ থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ একটি মামলা করেন। তার আগে ৩ জুলাই একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। 
অভিযুক্তরা হলেন- নিহতের স্বামী আওলাদ হোসেন,  তার চাচা আমজাদ হোসেন । তার বোন পাপিয়া আক্তার। অপর একজনের নাম মাকসুদা। এদের মধ্যে আমজাদ হোসেন ও পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
এজাহার থেকে জানা যায়, রেহেনা পারভীন ২ঌ জুন তার ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। পরের দিন সে তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। গত ৩ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে ফোন করে বলে তাকে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না তার। পরে অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাস রেহেনার পরিবারকে অবগত করেন। এর মধ্যেই নিহত রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেন ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে বলে জানতে পারে পরিবার। পরে তারা ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
নিহতের মা আইরিন আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া করিয়েছি। পরে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাই। সেখানে সে নাগরিকত্ব পায়। পরে আওলাদ এক পর্যায়ে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে করে আমার মেয়েকে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন সময়ে আমার মেয়ের অনেক সম্পদ হয়। আমার মেয়ে নিজ নামে সব সম্পদ করে। সেই সম্পদের জন্য আওলাদ, আওলাদের বোন, ভাইসহ পুরো পরিবার আমার মেয়েকে কৌশলে  হত্যার পর মরদেহ গুম করে। হত্যার দুই মাস পর আজ পুলিশ আমার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আমি খুনিদের সবার ফাঁসি চাই।
আশুলিয়া থানার নবীনগর ক্যাম্পের ফাঁড়ি ইনচার্জ অলক কুমার দে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে নরসিংদী ও আশুলিয়া থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামির বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 
ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী সুপার (দোহার সার্কেল) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তাদের বেশিরভাগ সম্পত্তি বাংলাদেশে। সেগুলো দেখতে রেহেনা পারভীন মাঝে মধ্যেই দেশে আসেন। তবে সেই সম্পত্তি অধিকাংশ রেহেনা বেগমের নামে। এর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রেহেনা পারভীনকে তুলে নিয়ে হত্যার পর আশুলিয়ার নয়ার হাটের একটি গ্রামের নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তাই দূতাবাসে ফিরে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দিয়ে আসতে হয়। কিন্ত রেহেনা ফিরে না যাওয়ায় দূতাবাস থেকে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপরেও রেহেনা ও তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে জানতে পারে গত ১৩ জুলাই আওলাদ হোসেন অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি ও পরবর্তীতে একটি মামলা করেন। দেশের ক্রান্তিকালে তদন্ত একটু দেরি হলেও আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আজকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করি। বিস্তারিত তথ্য আরোও তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

খবরটি ভাল লাগলে লাইক-শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012- 2024

Theme Customized By Diggil Agency
Verified by MonsterInsights