নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী গৃহবধূ নাদিয়া আফরিন। তার স্বজনদের দাবি, সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে এবং চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই তাকে জীবন দিতে হলো।এই নিয়ে জনমনে ব্যপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৯ মে নাদিয়া আফরিন,পিতা -ইব্রাহিম, স্বামী মনির হোসেন, ঠিকানা বনশ্রী এম ব্লকের ১২ নম্বর রোড, খিলগাঁও, ঢাকা। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলার জালালপুর গ্রামে। তিনি গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করাতে মগবাজারের আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন এবং চিকিৎসক তানিয়া নুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
চিকিৎসক পরীক্ষার পর জানান, গর্ভস্থ সন্তানের হার্টবিট মাত্র ৭০%-৯০% ওঠানামা করছে এবং দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি না হলে বাচ্চার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব নয়। নাদিয়া সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ওইদিন বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত ৯টার দিকে ডাক্তার তানিয়া নুর পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানান, গর্ভস্থ সন্তান মারা গেছে এবং স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারি করাতে হবে।
রোগীর আত্মীয়রা ঝুঁকি না নিয়ে সিজারিয়ান ডেলিভারির অনুরোধ জানালেও ডাক্তার তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরদিন ১০ মে সকাল ১০টার দিকে ব্যথার ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর মৃত সন্তান প্রসব করানো হয়। পরিবারের দাবি, বাচ্চার শরীরে আচড়ের চিহ্ন ছিল। ঘটনার পর নাদিয়াকে HDU ও পরে ICU-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শরীরে ৩০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
অবশেষে চিকিৎসার পাঁচদিন পর, ১৪ মে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাদিয়া আফরিনের মৃত্যুর খবর জানালে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ব্যপক তোলপার সৃষ্টি হয় পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় নরমাল ডেলিভারির কথা বলে সাইড সিজারের কারনে ইনফেকশন থেকে রক্ত শুন্য হয়ে নাদিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর হাসপাতালের পরিচালক এক বৈঠকে গণমাধ্যম ও স্বজনদের সামনে রোগীর বড় বোন কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাসপাতালের পরিচালক নাহিদ ইয়াসমিন কে প্রশ্ন করেন, “আপনারা আমার বোনকে মারলেন কেন?”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তিন দিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে গাফিলতি থাকলে তা প্রকাশপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত গৃহবধুর পরিবারকে বারবার বলতে শোনা যায় মৃত ব্যক্তির আত্মা কষ্ট পাচ্ছে তাকে তারাতারি নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন।স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করলে রমনা থানার এসআই মিজান ঘটনাস্থলে পৌঁছান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় অথবা ডাক্তারের গাফলতি বা দুর্ঘটনায় কোন রোগির মৃত্যু হলে এর দায় কার রোগির না হাসপাতালের ? পরিচালক নাহিদ ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি দৈনিক শীর্ষ অপরাধ-কে জানান, “হাসপাতালে কোনো মৃত্যু ঘটলে তা থানায় জানানো বা পোস্টমর্টেম করানোর আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।”
উল্লেখযোগ্য, এর আগেও আদ-দ্বীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে। নাদিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মে সকাল ১০টার দিকে ব্যথার ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর মৃত সন্তান প্রসব করানো হয়। পরিবারের দাবি, বাচ্চার শরীরে আচড়ের চিহ্ন ছিল। ঘটনার পর নাদিয়াকে HDU ও পরে ICU-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শরীরে ৩০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
অবশেষে চিকিৎসার পাঁচদিন পর, ১৪ মে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাদিয়া আফরিনের মৃত্যুর খবর জানালে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ব্যপক তোলপার সৃষ্টি হয় । ঘটনার পর হাসপাতালের পরিচালক এক বৈঠকে গণমাধ্যম ও স্বজনদের সামনে রোগীর বড় বোন কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাসপাতালের পরিচালক নাহিদ ইয়াসমিন কে প্রশ্ন করেন, “আপনারা আমার বোনকে মারলেন কেন?”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তিন দিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে গাফিলতি থাকলে তা প্রকাশপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করলে রমনা থানার এসআই মিজান ঘটনাস্থলে পৌঁছান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় অথবা ডাক্তারের গাফলতি বা দুর্ঘটনায় কোন রোগির মৃত্যু হলে এর দায় কার রোগির না হাসপাতালের ? পরিচালক নাহিদ ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি দৈনিক শীর্ষ অপরাধ-কে জানান, “হাসপাতালে কোনো মৃত্যু ঘটলে তা থানায় জানানো বা পোস্টমর্টেম করানোর আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।”
উল্লেখযোগ্য, এর আগেও আদ-দ্বীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে। নাদিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মন্তব্য করুন