খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার খালিশপুর থানার বয়রা বৈকালি এলাকার তরুণ আশিকুল বাসার সাদ (বয়স আনুমানিক ২২–২৪), পিতা খাইরুল বাসার বাবলু, গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। জানা গেছে, তার কাছে মোবাইল কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা ছিল।
চা খাওয়ার পর দোকান থেকে বেরিয়ে ‘ইমন’ নামের এক যুবকের সঙ্গে বৈকালি আফজালের মোড়ে যান তিনি। রাত তখন ৮টা। মোবাইল কেনাবেচার কথা বলে সাদকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পরদিন, ১০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে ফেসবুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহের ছবি দেখে সাদের পরিবার সেখানে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।
পরে জানা যায়, রূপসার কুদির বটতলা এলাকার মেইন রোডে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে এক ভ্যানচালক অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা এক যুবককে দেখতে পান, যিনি পরে সাদ হিসেবে শনাক্ত হন। সন্দেহ করা হচ্ছে, ইমন তাকে সেখানে ফেলে রেখে আসে বা হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয়।
অভিযুক্ত ইমন, পিতা আশরাফ ওরফে বড়ো মিয়া, বৈকালি এলাকার ল্যাংটা চাচার মাজারসংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন।
সাদের পরিবারের অভিযোগ ইমনই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলেও তাদের ধারণা। হত্যার বিষয়টি গোপন রাখতে ইমন ও তার পরিবার থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাদের পিতা রূপসা থানায়
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ পত্রে সাদের পরিবারের ফোন নাম্বার না দিয়ে একটি অন্য অপরিচিত নাম্বার পরিকল্পিত ভাবে দেয় এস আই ইয়াসিন আরাফাত যা দেখে পরিবার হতবাক ও ক্ষুব্ধ।
নিহত সাদের পিতা-মাতা ও বড় বোন গণমাধ্যম কর্মী নাহিদা আক্তার লাকী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তারা সকল গণমাধ্যম, প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠন এবং সরকারের কাছে দ্রুত বিচার ও প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন