সামিমা আক্তার :
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ধার্মিক পাড়া ওয়াবদা রোড এলাকায় নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা ও মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।
গত-১০ ডিসেম্বর ওয়াবদা রোড ৩৭/১/২৪ এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় এ বিষয়ে বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, জি.এম সরোয়ার (৪৮) এতে বিবাদী করা হয়। মো. শাকিব (৩৮), পিতা- কুতুব উদ্দিন জাহাঙ্গীর, সাং মানিকদিয়া, থানা- সবুজবাগ, ২। মো. সাব্বির হোসেন (৩৫), পিতা কুতুব উদ্দিন জাহাঙ্গীর সাং- মানিকদিয়া থানা- সবুজবাগ, ৩। মো. বাবু (৪৫), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- মানিকদিয়া, থানা সবুজবাগ, ৪। মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- মানিকদিয়া থানা, সবুজবাগ। স্থানীয়রা জানান, ৭৩ নং ওয়ার্ড স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে এলাকার বিভিন্ন স্থানে তান্ডব চালায় এই মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ভুক্তভোগী-জি.এম সরোয়ার জানান, যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধার্মিক পাড়া, ওয়াবদা রোড ৩৭/১/২৪ ঠিকানার ৮৪৮ অযুতাংশ জমি আমি শহিদুল্লায় ও রেজিয়ার নিকট হইতে বিগত ২০২১ সালে ক্রয় সূত্রে আমার মামা শ্বশুর জাকির হোসেন পরিচিত সাঈদ আহম্মেদ ও আমি মালিক। উক্ত জমি ক্রয়ের পর আমরা টিনসেড বিল্ডিং নির্মান করিয়া ভোগ দখলে নিয়োজিত আছি। আমাদের উক্ত জমিতে নির্মিত টিনসেড বিল্ডিংয়ের সামনের অংশে দোকান এবং পিছনের অংশে গোডাউনের জন্য নির্মিত। বিবাদীরা বিভিন্ন সময় আমার উক্ত তফসিল যুক্ত জমি জোরপূর্বক দখলের জন্য পায়তারা করিয়া আসছে। আমার উক্ত জমিতে নির্মিত দোকানের ভিতরে ঢালাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ইং ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৫.৪৫ ঘটিকার সময় ওইসব বিবাদী যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধার্মিক পাড়া, ওয়াবদা রোড ৩৭/১/২৪ আমার ক্রয়কৃত জমিতে নির্মিত দোকানের সামনে বেআইনি জনতাবদ্ধে আসিয়া আমাকে খুঁজতে থাকে এবং নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে।
দোকানের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রী মামুন তার কথা মত কাজ বন্ধ না করায় বিবাদীরা মিস্ত্রী মামুনকে এলোপাথারী কিলঘুষি, লাথি মেরে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত অনান্য মিস্ত্রীরা বিবাদীদের কার্যকলাপ দেখে দোকানের ভিতরে চলে যায় এবং সাটার লাগায় রাখে। মিস্ত্রী মামুন আমাকে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয়ে জানালে আমি দ্রুত আমার দোকানে হাজির হই এবং বিবাদীদের সহিত কথা বলার চেষ্টা করলে ১ নং বিবাদী মো. শাকিব তার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বাড়ি মারলে আমি প্রাণে বাঁচার জন্য সরে গেলে আমার নাকে লাগে এবং হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। অনান্য সকল বিবাদী আমাকে এলোপাথারী কিলঘুষি, লাথি মেরে আমার মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। ২ নং বিবাদী মোঃ সাব্বির হোসেন আমার পকেটে মিস্ত্রীদের বিল ও রড ক্রয়ের জন্য থাকা নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিবাদীরা তাদের কাছে থাকা লোহার রড, হ্যামার দিয়ে দোকান ঘরের সাটার ভেঙ্গে ক্ষতিসাধন করে, ক্ষতিসাধিত মূল্য অনুমান ১ লক্ষ্য টাকা। বিবাদীরা সাটারের তালা ভেঙ্গে দোকানের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরা, ডিডিআর, রাউটার মনিটর খুলে নিয়ে যায় এবং দোকানের ভিতরে নির্মাণ কাজের জন্য থাকা ৯ শত কেজি লোহার রড ভ্যানে করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাসুদ, শুক্কুর-সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে দোকানের কাজ চলমান রাখলে বিবাদীরা আমার প্রাণ নাশ করবে বলে হুমকি প্রদান করে সকল বিবাদী ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। আমি আহত হওয়ায় আমার পরিবারের লোকজন আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করায়।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মাহবুদুল হাসান দৈনিক শীর্ষ অপরাধ কে বলেন, আজকে আমার নাইট ডিউটি আছে ঘটনাস্থলে যাব বিষয়টি সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন