নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল পরিচিত লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ।গত বছরের ৫ ডিসেম্বর প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে না করার অভিযোগে এক নারী রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করেন। মামলার পর আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেন, ‘মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনও বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়। তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওই দিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার মা-বাবা মাঝেমধ্যেই বাসায় এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার আমাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।’
মামলার পর প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিল, ‘গত ডিসেম্বরে মাঝরাতে লায়লা ও আমার মধ্যে কিছুটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখন উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যা পরবর্তী সময়ে মামলায় গড়ায়। বিষয়টি এখন আইনিভাবে মোকাবিলা করবো আমি।’
মামুন আরও বলেছেন, ‘সে (বাদী) বলেছিল মামলাটি তুলে নেবে। এ কারণে আমিও আর আদালতে কোনও হাজিরা দিইনি। আর আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’
এদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, তিনি বলেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের রিকুইজিশন দেওয়া হয়েছিল। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পুলিশের একটি টিম কুমিল্লায় এলে তাদের কাছে প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন