এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর:
বিরামপুরে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই আরম্ভ হয়েছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিনের বিরুদ্ধে স্হানীয় শ্রমিকদের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১০ মে) সকাল থেকে সারাদিন উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। এসময় কৃষকের ধানের মাঠে শ্রমিক আধুনিক যন্ত্র দিয়ে মাঠে ধান কাটার দৃশ্য দেখা যায়। স্হানীয় চাষীরা ইরি/বোরো ধান আগে রোপণ করেছেন সে পাকা ফসল গুলো কৃষকেরা শ্রমিক ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন দ্বারা কাটতে আরম্ভ করেছেন। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন প্রতি বিঘা একটু দুরের জমি ২৬-২৭ শত টাকা আর নিকটে ২২-২৩ শত টাকায় ফসল কাটা ও মাড়াই করছেন। এরই পাশাপাশি স্হানীয় ও বহিরাগত শ্রমিকেরা প্রতি বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করছেন ৪,০০০-৪,৫০০- টাকা দরে ধান কাটছেন। এসময় শ্রমিকেরা আদিবাসী সম্প্দায় ও স্হানীয় মুসলিম শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন যে এই মেশিন থাকলে আমাদের পেট চলবেনা।
তারা আরও জানান,বাংলাদেশ কৃষির উপর নির্ভরশীল শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়।মানুষের বেশি ভাগ মানুষের জায়গা জমি নাই। প্রতিদিন কাজ করতে হয়। একদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। এরই মধ্যে আবার বোরো ধান কাটার মেশিন এসে আমাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এই মেশিন যদি নিয়মিত থাকে তবে কৃষকদের আর কোন শ্রমিকের প্রয়োজন হবে না। তবে আমরা কাজ পাব কোথায় ও কি ভাবে চলবে আমাদের সংসার। এবিষয়ে স্হানীয় শ্রমিকেরা বিষয়টি সু-নজর দেওয়ার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবিযয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার বোরো ধানের ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিক সংকট হবে না বলে জানান। তবে শ্রমিকদের বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান। বোরো ধান চাষী দিওড় ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বোরো মৌসুমে আমি প্রায় ১৫বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। এর মধ্যে ৬ বিঘা জমির ধানে পেকে যাওয়ায় কাটতে হচ্ছে। এবারে ফসলের উৎপাদন অনেক ভালো।
তিনি আরও বলেন,বিঘাতে জমির ধান কাটতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে চার হাজার পাঁচশত টাকা। আশা করছি প্রতি বিঘা জমি থেকে ২৫ থেকে ২৬ মণ করে ধান ঘরে তুলতে পারব।ইউনিয়নের কোচগ্রাম মহল্লার সাদ্দাম হোসেন বলেন,আমার ৫ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি। তবে শ্রমিকের সমস্যা নাই। এবার আমি জলঢাকা থেকে শ্রমিকের দল এনে কাজ করছি।
শ্রমিকের সরদার আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরে আমরা বিরামপুরে ধান কাটার মৌসুমে এখানে এসে থাকি। প্রতি বারের মত এবারও ৩৩ জনের দল রয়েছে। আমরা তিন বেলা খেয়ে ৩ হাজার টাকা থেকে তিন হাজার পাঁচশত শত টাকায় বিঘার ধান কাটছি। তবে বেশি জমি পাবনা কারন ধান কাটার মেশিনে অনেক ধান কাটছে কৃষক। ফলে আমাদের চাহিদা অসম্পূর্ন রয়ে যাবে। তারা আরও জানান,আমাদের দেশেও এই ধান কাটা মেশিন বের হয়েছে। এর জন্য আমরা তেমন ভাবে কোন কাজ করতে পারি না। এখানেও একই অবস্থা মেশিন থাকায় কৃষকেরা মেশিন দিয়ে বেশি ধান কাটছে। এরকম হলে আমাদের পেটের ভাত হবে না বলে জানান।
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : এম এস প্লাজা, ২৮/১/বি, (৩য় তলা), টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।ফোন নাম্বার-+8809697648889/ +8809638548103 , ওয়েবসাইট : www.shirsoaparadh.com, Email:editor.dso@gmail.com, shirsoaparadhnews@gmail.com
স্বত্ব © ২০১২-২০২৪ দৈনিক শীর্ষ অপরাধ