এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলায় সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে কেটরা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারির মধ্যে বসেছে পশুর হাট মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে স্হানীয় সূত্রমতে জানা যায়,বিরামপুর উপজেলাধীন কেটরা উচ্চ বিদ্যালয় বাউন্ডারির মধ্যে পশুর হাট বসেছে।
ঘটনা সরজমিনে জানা যায়,উচ্চ বিদ্যালয়টি কেটরাহাট সংলগ্ন পূর্বধারে অবস্থিত। সুন্দর মনোরম পরিবেশ। চারিদিক বেষ্টিত বাউন্ডারিতে ঘেরা। বিদ্যালয়টিতে প্রবেশ করার একটি প্রধান ফটক রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এর মধ্যেই বসেছে ঈদুল আজহার পশুর হাট। ফলে চিত্র পরিবর্তন দৃশ্যে পতিত হয়েছে। বিদ্যালয় বাউন্ডারির মধ্যে গরু ও ছাগলের আলাদা ভাবে বাঁশ দিয়ে পশু বিক্রয়ের জায়গা তৈরি করা হয়েছে। বাউন্ডারির মধ্যে পশ্চিম পাশে ছাগল ও ভেড়া এবং পূর্ব পাশে গরু বিক্রয়ের জায়গা করা হয়। স্কুলের দক্ষিণ পাশে বিদ্যালয়ের বারান্দায় রয়েছে চিকিৎসা ক্যাম্প ও পশু বিক্রয়ের সাফা পত্রের স্থান। পাশেই রয়েছে বিড়ি সিগারেট সহ বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান। এ সময় ক্রেতাগণ তাদের পশু কেনাবেচার ব্যস্ততার দৃশ্য অবলোকন করা যায়।
এ বিষয়ে ইজারাদার আব্দুস সালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,
স্কুল তো ছুটি হয়েছে দুপুরের আগেই তারপর থেকে হাঁট বসা হয়েছে। এতে আবার সমস্যা কিসের। বিরামপুর উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের মধ্যে হাট বসেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। কেটরা উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান,স্থানীয়ভাবে এই কাজটি করা হয়েছে। এটি তো বরাবরের মতই হয়ে থাকে। তবে যদি এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকে তবে আমি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেক্রেটারি সহিত আলোচনা সাপেক্ষে কথা বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগণ জানান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এইভাবে গরুর হাট বসা ঠিক নয়। এতে করে শিক্ষার্থী ও পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থী গণের শিক্ষা গ্রহণের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে পড়ে। তারা আরো জানান এটা সম্পূর্ণ একটা অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে পশুর হাট এখানে বসানো হয়েছে। বিদ্যালয় অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পশুর হাট বসানোর কারণে আমাদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা তবে বিষয়টি দেখছি।
মন্তব্য করুন