নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মুগদা থানা এলাকায় মানিকনগর বালিরমাঠে দীর্ঘদিন যাবত জুয়ার আসর বসিয়ে মাদক ব্যবসা, চাদাবাজি নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের মুল হোটা কুখ্যাত জুয়াড়ি নুর ইসলামসহ ১৬ জনকে আটক করে জুয়াড়িদের আস্তানা গুড়িয়েদেয় মুগদা থানার পুলিশ।
আজ ৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান এর নির্দেশনায়, আশীষ কুমার দেব ইন্সপেক্টর (অপারেশন), মুগদা থানা এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান মৌসুম, সাব ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান সহ মানিকনগর ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক এ কে আজাদ সহ থানার একটি চৌকস টিম রাতভর অভিযান পরিচালনা করে মুগদা থানাধীন মানিক নগর পাকার মাথা হুমায়ুন মাস্টার বাড়ি হইতে রাত্র ০২.৪৫ ঘটিকায় খেলারত অবস্থায় প্রধান জুয়াড়ী নূর ইসলামসহ ১৬ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেন।
যার মধ্যে রয়েছে মোঃ আক্তার হোসেন (৪০), মোঃ শরিফুল ইসলাম (২৮), মোঃ জামাল (৫২),মোঃ টুলু (২৮),মোঃ শরিফ (২৬),জাকির হোসেন, মাসুদ বাদল (৩৮), মোঃ আল আমীন সিকদার (৪৫), মোঃ আবুল কালাম (৪৫), কবির হোসেন (৪২),মোঃ নজরুল ইসলাম (৫০), মোঃ বাদশা মিয়া (৫০), মোঃ ছারোয়ার আলী (৪০), মোঃ মনির হোসেন ও মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার।
তাছাড়াও জুয়ার আলামত সর্বমোট নগদ ১৪,১৮০/- (চৌদ্দ হাজার একশত আশি) টাকা ও জুয়া খেলায় ব্যবহৃত ০৩(তিন) বান্ডিল তাস এবং একটি টিনের বাক্স উদ্ধার পূর্বক জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন।এ বিষয় মুগদা থানায় ৯২/১০০ ডিএমপি অধ্যাদেশ একটি মামলা দায়ের করে জিডিনং ৩৭০/২০২৪ আসামিদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।নুর ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের তার ও খাম্বা চুড়ির অভিযোগ রয়েছে।
কে এই জুয়ারি নুর ইসলাম:
নুরইসলাম মুগদা থানা আওতাধীন মানিকনগরে বালুর মাঠে এখন জুয়ারির আস্থানা।পুরো মানিকনগরে জুয়ার আসরে নেতৃত্ব দিচ্ছে নূর ইসলাম। অনুসন্ধানে নামেন পাওয়ার সেল টিম অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন নূর ইসলাম,পিতা জহুর ইলাম, গ্রাম মির্জানগর, থানা - মেঘনা, তিন ভাই এক বোন সবার বড় এই নুর ইসলাম ব্যক্তিগত জীবনে দুই বিয়ে প্রথম ঘরে এক ছেলে এক মেয়ে প্রথম স্ত্রী বিদেশে থাকে । সে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিন সন্তানের জননী দ্বিতীয় বউ নিয়ে এখনকার সংসার।
নূর ইসলামের টাকার অভাবে স্কুলে যেতে পারেনি তাই ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতো অনেকে জানিয়েছে বেশ কিছুদিন যাবত লেদে কাজ করত ভাল ইনকাম ছিল। হঠাৎ লেদে কাজ ছেড়ে দেয় তারপর শুরু হয়। অনৈতিক কর্মকাণ্ড মতিঝিল গোপীবাগ কথিত কিছু সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডের সাথে সোর্স বা পিয়ন হিসেবে কাজ করতে থাকে। এবং সবার সাথে ভালো সম্পর্ক হওয়ার পরে মতিঝিল ও মধুমিতা হল থেকে শাপলা চক্র পর্যন্ত ফুটে টাকা উঠানো দায়িত্ব নিয়ে থাকে ।
নিজেও দুইটি দোকান বসিয়ে রমরমা ব্যাবসা শুরু করতে থাকেন। তখন থেকেই।পুলিশের সাথে সখ্যতা তৈরি করে এবং মাদকের ব্যবসা শুরু করে। ব্রাদার্স ক্লাব আসা যাওয়া করতে থাকে। সেই সুবাদে উচ্চ ক্ষমতাশালী লোকদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে। দিনে দিনে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেন তিনি। ব্রাদার্স ক্লাব ও মধুমিতা হলের পিছনের রাস্তায় মদ বিয়ার বেচাকেনা শুরু করে।মতিঝিল এবং সূত্রাপুর থানা ম্যানেজ করে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন। এবং সেই অবস্থায় তার পিছু ফিরে তাকানোর সময় নেই এখন সে বেশ কিছু টাকার মালিক হয়ে উঠছে টাকার সাথে সাথে তার আচার-আচরণ বদলে যায় মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। খারাপ ব্যবহারের জন্য ঐ এলাকার স্থানীয় লোকজন তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দেয়।
বদল করে নেয় নতুন ঠিকানা মানিকনগর বাজারে একটি রুম নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। জুয়ার আসর বসানো হয়। শুরু হয় ঢাকার ভেতরে অন্যতম জুয়ার আসর এবং পরিচিত লাভ করে এই জুয়ার আসরে থানার কোন পুলিশ দিয়ে হয়রানি শিকার হয় না বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে জুয়ারীরা এসে খেলার আসর জমায় কয়েক বছর ভালোই চলছিল ।জুয়ার আসরে রুম, সিটি কর্পোরেশনের অবৈধ স্থাপনা থাকায় ভেঙ্গে ফেলে। নতুন করে আবার ও আস্তানা তৈরি করে মানিকনগর বালুর মাঠে এখানে শক্তিশালী অবস্থান নেয় পুলিশ ও বিভিন্ন নেতা দিয়ে মহড়া দিতে থাকে ভয়ে এলাকার মানুষ কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।
মানিকনগর বালুর মাঠে পুলিশ আসলেই নুর ইসলাম তাদেরকে চা নাস্তা থেকে শুরু করে পকেট ভারি করে দেয় এবং তাদের কোনো ছেলে মেয়ের জন্মদিন বা নতুন। কোন সন্তান জন্ম হলে । নূর ইসলাম গরুর গোস্ত হাঁসের মাংস বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন করে থাকেন ।মাঝেমধ্যে ডিউটিরত পুলিশদেরকে রাতে বিরানি খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং নিজের বা কাছের কোন মানুষেদের অনুষ্ঠান হলে থানায় দাওয়াত দিলে থানার বড় কর্মকর্তা দাওয়াতে চলে আসে শুধু তাই নয় অন্য। ওয়ার্ডের নেতাদের দাওয়াত দিলে তারা ও চলে আসে। যার কারণে এলাকার স্থানীয় লোকজন কিছু বলতে। সাহস পায়না বলতে গেলে, তাদেরকে মামলা হামলার ভয় দেখানো হয় ।
অফিসার ইনচার্জ জনাব তারিকুজ্জামান জানান, উক্ত নুর ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঘন ঘন জায়গা বদল করে গোপন জায়গায় জুয়াড় আসর বসিয়ে থাকে, এই সমস্ত জুয়াড়ী দের বিরুদ্ধে মুগদা থানা পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : এম এস প্লাজা, ২৮/১/বি, (৩য় তলা), টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।ফোন নাম্বার-+8809697648889/ +8809638548103 , ওয়েবসাইট : www.shirsoaparadh.com, Email:editor.dso@gmail.com, shirsoaparadhnews@gmail.com
স্বত্ব © ২০১২-২০২৪ দৈনিক শীর্ষ অপরাধ