শাব্বির আহমদ, খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের সাদা সোনা খ্যাত গলদা চিংড়ি চাষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই চিংড়ি চাষ আধুনিকীকরণ ও সময়োপযোগী করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সুদমুক্ত ব্যাংক ঋণ, সহজে ও নির্বিঘ্নে রেণু সরবরাহ এবং পরিবহনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সুনাম রক্ষায় মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হবে এবং কেউ যেন অপদ্রব্য মিশিয়ে চিংড়ির সুনাম ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার বয়রা মোস্তর মোড়ে মৎস্য অবতরণ ও বিপণন কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইউসুফ ফকির, খানজাহান আলী থানা আমীর ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সরকারি বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিন হোসেন, ব্যবসায়ী দেবাশিস মন্ডল, শেখ হেদায়েত হোসেন লিখন, নিত্যানন্দ রায়, যুতুষ্টি মন্ডল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানা জামায়াতের আমীর আব্দুল গফুর।
বিল সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতি
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ অঞ্চলের প্রায় ১৪টি বিল ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায়, ফলে কৃষকরা চরম দুর্দশায় পড়েন। অতীতে এমপি থাকাকালে বিভিন্ন স্লুইসগেট এলাকায় ড্রেজিং করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু গত ১৭ বছরে খাল-বিল দখল, সরকারি জমি লিজ ও ড্রেজিং না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে বিল ডাকাতিয়াসহ সব বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনকে প্রধান কাজ হিসেবে নেবেন।
অতীতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তিনি আরও বলেন, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে এমপি থাকাকালে সড়ক নির্মাণ, মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা হয়েছিল। এবার নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার চেষ্টা করবেন।
ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রের আহ্বান
তিনি বলেন, রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত থাকলে অমুসলিমরাও সবচেয়ে নিরাপদে থাকে। ইসলামের ইতিহাসে তার প্রমাণ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ইসলামপ্রিয় আলেম-উলামাদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান ঘোষিত ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখায় জনগণের ওপর কোনো শোষণ থাকবে না, শাসক হবে সেবক, নারীরা নিরাপদ থাকবে এবং বেকার যুবকরা চাকরি অথবা বেকার ভাতা পাবে।
ভোটের আহ্বান
তিনি বলেন, জনগণ পরিবর্তন চায়। দুর্নীতি, জুলুম ও দুঃশাসনমুক্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে জামায়াত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য ঘরে ঘরে জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতা করতে হবে।
মন্তব্য করুন