1. editor.dso@gmail.com : admin :
  2. shirsoaparadhnews@gmail.com : দৈনিক শীর্ষ অপরাধ : shirso Aparadh
  3. maria.sgbd@gmail.com : Saiful : Saiful
  4. info.editor.dsa@gmail.com : Mahfuz Sarker : Mahfuz Sarker
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন সকাল ১০:২৩ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে নারী ক্রীড়াবিদদের প্রতিনিধি দল, কাতারে যাচ্ছেন উখিয়ার রিপাও গজারিয়ায় পৃথক স্থানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিনটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস কর্তৃপক্ষ চীনের অর্থায়নে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট নয় বিএনপি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক পরিবারের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদের সহকারী ইমামের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ ‘বাংলাদেশের মানুষ নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে’ আমতলীতে ব্র্যাক পল্লী নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের উদ্ধোধন

‘বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ চিন্তার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে- প্রধান উপদেষ্টা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার। সে মর্মে সবার কাছ থেকে চাহিদা ও পরামর্শ চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লবের ফসল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার। নিজের আস্থা থাকলে এ সংস্কার আমরা পারব, কেন পারব না? যেমন সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আস্থা ছিলে বলেই তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে চিঠি লিখতে পেরেছিলেন। সব সময় আমাদেরকে বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছে আসে। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে, তারাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্ক্ষাই শতবার্ষিকী পালন করছি।

পঞ্চাশের দশকের ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সেই শান্ত শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি আজকের নতুন বাংলাদেশে। বোস- আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।

তিনি বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ তাদের চিন্তার স্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে আবার ফিরে পেয়েছে। এর সঙ্গে এখন বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতাকেও যোগ করতে হবে। আকাঙ্ক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হয়। ১৯২৪ সালে বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ ওভাবে গড়ে উঠেছিল, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যার জগতের সবাইকে এতে আহ্বান জানাই।

বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯২৪ সালের বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে কার্জন হলের একটি কামরায় বসে, আজও যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত। আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদরা বলেন বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিল কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ববিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ার প্রয়াসের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি। তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদ্‌যাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে? এই উপলক্ষে আয়োজিত আপনাদের এই বিজ্ঞান-সভায় আমাকে দুটি কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসব খ্যাতনামা বিজ্ঞানী বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের অগ্রগতির ওপর বিশ্বময় কাজ করছেন তাদের কয়েকজন আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এবং সত্যেন্দ্র নাথ বসুর আবিষ্কার-স্থানটির প্রতি তাদের আগ্রহের পরিচয় দিয়ে এই সম্মেলনে শরিক হয়েছেন; তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। মনে রাখতে হবে এসময় এই আবিষ্কারের উদ্‌যাপন দুনিয়ার অন্যত্রও ঘটছে, তারা আমাদের সম্মেলনে এসেছেন। বসুর কীর্তির ঢাকা শহরে, বিপ্লবের পুনর্জাগরণের ঢাকা শহরে, তাদেরকে স্বাগতম।

বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্স থিওরি শনাক্ত বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্ববিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত বসু কিন্তু ঢাকা থেকে হারিয়ে যাননি। বাকি সময় এখানে কাটালেন গবেষণায় ও নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগের কাণ্ডারি হিসেবে বিভাগের উন্নয়নে। আনলেন বহু সুযোগ্য সহকর্মী, তাত্ত্বিক মানুষ হয়েও নিজের হাতে ল্যাবরেটরি গড়ার কাজে মন দিলেন। অনেক যন্ত্র নিজেই তৈরি করেছেন- শুনেছি তার কিছুর ভগ্নাংশ এখনো কার্জন হলে আছে। আর তিনি রইলেন আমাদের ঢাকা শহরের হয়ে- সেদিনের ছোট্ট সাদামাটা ঢাকা শহরের। এখানে তিনি শুধু কঠিন তাত্ত্বিক বিজ্ঞানী ছিলেন না, ছিলেন শহরের সংস্কৃতিবান গণ্যমান্য নাগরিক, যিনি তার এস্রাজ বাজনার জন্যও কদর পেতেন।

সর্বস্তরসহ উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক বিতর্ক করছেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন। সেদিনের বৃক্ষশোভিত সবুজ রমনায় যে বহু লাল ইটের টালির ছাদের বাড়ি ছিল, সবাই চিনতো কার্জন হলের পাশে তারই একটা বোস সাহেবের। কেন জানি ঢাকার সাধারণ মানুষ তাকে বোস সাহেব বলেই ডাকতো। মাঝে মাঝে একটি ঘোড়ার গাড়ি এসে থামতো, তখন ওটিই ঢাকার প্রধান যানবাহন; সপরিবারে বোস সাহেব যেতেন নওয়াবপুরে মুকুল থিয়েটারে নাটক দেখতে।

খবরটি ভাল লাগলে লাইক-শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012- 2024

Theme Customized By Diggil Agency
Verified by MonsterInsights