একরামুল হক:
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তার স্মৃতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়েছে।
৬ আগস্ট রাত ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে মরহুমের পারিবারিক বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’-এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তার কনিষ্ঠ কন্যা ডা. জুবাইদা রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জামাতা তারেক রহমান এবং তাদের কন্যা জায়মা রহমান।
দোয়া মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, নিতাই রায় চৌধুরী, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, আমানউল্লাহ আমান, জহিরউদ্দিন স্বপন, ফজলে এলাহী আকবর, আতিকুর রহমান রুমন, আন্দালিব রহমান পার্থসহ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা।
মাহবুব আলী খানের বড় কন্যা শাহিনা খান জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সকল ঘাঁটিতেও দিনব্যাপী তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসা— যেমন বাউনিয়াবাদ জামিয়া কুরবানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, জামিয়া কুরবানিয়া তালিমিয়া মহিলা মাদ্রাসা, সোনারগাঁওয়ের সনমান্দি খান বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসা— এসব স্থানে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, আজিমপুর দায়রা শরিফ জামে মসজিদ, ধানমন্ডির তাকওয়া, বায়তুল আমান ও ঈদগাহ জামে মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদেও বিশেষ মোনাজাত হয়।
মাহবুব আলী খানের জন্মভূমি সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরান (র.) এর মাজার মসজিদে কোরআন খতম, দোয়া ও তবরুক বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া বগুড়ার বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদে এবং গাবতলী বাগবাড়ী জামে মসজিদেও তার স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার, মাহবুব ভবনে মরহুমের সহধর্মিণী ইকবাল মান্দ বানুর প্রতিষ্ঠিত পথশিশুদের প্রতিষ্ঠান ‘সুরভি’তে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ১৯৮৪ সালের ৬ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নৌবাহিনীকে আধুনিকীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
মন্তব্য করুন