রাজু আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:
আজ ৫ আগস্ট—গণঅভ্যুত্থান দিবস। ২০২৪ সালের এই দিনে স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছিল। ঠিক এক বছর পর, সেই ঐতিহাসিক বিজয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালির। যা রীতিমতো রূপ নেয় এক গণজোয়ারে।
এই মহাসমাবেশে নেতৃত্ব দেন বাঞ্ছারামপুরের গর্বিত সন্তান, সাবেক সংসদ সদস্য, অতিরিক্ত আইজিপি (অব.), বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা সভাপতি মেজর (অব.) এম এ খালেক পিএসসি।
সকাল ১০টায় কড়িকান্দি ফেরিঘাটে যখন এম এ খালেক পিএসসি’র গাড়িবহর এসে পৌঁছায়, তখন থেকেই শুরু হয় মানুষের ঢল। ফেরিঘাট থেকে মাতু’র বাড়ি মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে জনতার সারি আর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বাঞ্ছারামপুর। প্রায় তিন শতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় যোগ দেয়, যা র্যালিতে যোগ করে নতুন মাত্রা।
র্যালির প্রতিটি মুহূর্ত ছিলো উৎসবমুখর। নেতাকর্মীদের হাতে দলের পতাকা, মুখে স্লোগান, চোখে স্বপ্ন—এই দৃশ্য যেন জানান দিচ্ছিলো, বাঞ্ছারামপুর এখনো এম এ খালেক পিএসসি’র নেতৃত্বেই আশাবাদী।
মাতু’র বাড়ি মোড় থেকে র্যালিটি বেলা ১১টার পর যাত্রা শুরু করে কলেজ মোড়, বাজার রোড, সফিক মার্কেট ঘুরে পৌঁছে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় এই গণমুখী আয়োজন।
র্যালির সফলতা ছিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল ও জাসাসের ঐক্যবদ্ধ তৎপরতায়। তারা মাঠে থেকে পুরো কর্মসূচিকে রাখে সুশৃঙ্খল ও প্রাণবন্ত।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, এম এ খালেক পিএসসি শুধু একজন রাজনীতিক নন—তিনি আশার প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বেই বাঞ্ছারামপুরে ফিরবে সুবিচার, সুশাসন এবং সমৃদ্ধি।
এই বিজয় র্যালি ছিলো শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি ছিলো মানুষের ভালোবাসার বিস্ফোরণ, বিএনপির শক্তিমত্তা ও ঐক্যের প্রকাশ, এবং একজন নেতার প্রতি জনতার নিঃশর্ত আস্থার উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।
মন্তব্য করুন