ফয়সাল হোসাইন সনি, বগুড়া
তথ্য প্রযুক্তির এযুগেও জিন হাজির করে দেন চিকিৎসা। চিকিৎসা একটি মহান পেশা আর এই পেশাকে পুজি করে বগুড়ায় কবিরাজির আড়ালে সনদ পত্র ছাড়াই করছেন যৌন চিকিৎসা, এতে করে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা, প্রশাসন বলছেন যারা এর সাথে জড়িত, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
মানুষ আল্লাহ তায়ালার পড়েই বিশ্বাস করেন ডাক্তারকে আর এই বিশ্বাসকে পুজি করেই, একদল কবিরাজ জিন বা ঝাড়া ফুকের মাধ্যমে দেন চিকিৎসা। আর এই চিকিৎসা দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নিঃস হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু ঝাড় ফুক দিয়েই বনে জাচ্ছেন চিকিৎসক, তবে শুধু ঝাড় ফুক নয়, দিয়ে থাকেন যৌন চিকিৎসাও। এমনই অভিযোগ উঠেছে বগুড়া সদরের হুকমাপুর সাধনা পাড়ার কবিরাজ ওয়ায়েছ কুরুনীর বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলছেন তিনি এই চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে আসছেন। আর এই চিকিৎসাকে ভূয়া বলে মনে করেন এই এলাকার মানুষ।
রহস্য উদঘাটনের পড় পড়ই মড়িয়া হয়ে পড়েন কবিরাজ ওয়ায়েছ কুরুনী, একদল ভূইফোড় সাংবাদিক ও কিছু নেতা দিয়ে ম্যানেজ করায় ব্যার্থ হোন সেই কবিরাজ। এক পর্যায়ে কবিরাজ ওয়ায়েছ কুরুনী বলেন। যৌন চিকিৎসা বা ডাক্তারি সেবা দিতে লাগেনা কোন সনদপত্র।
ভূয়া চিকিৎসা দেয়া একটি অপরাধ আর এই অপরাধের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল, শরাফত ইসলাম বলেন, চিকিৎসাকে পুজি করে কেহ ব্যবসা করতে পারবেন না তবে কবিরাজের বিরুদ্ধে কেহ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সেটি দ্রুত আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিষয়টি নিয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, কোন চিকিৎসক চিকিৎসা সনদ ছাড়া চিকিৎসা দিতে পারবেন না। বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যৌন চিকিৎসা কোন ভাবেই দিতে পারবেন না। যদি এই বিষয় প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
চিকিৎসা নামের প্রতারণা বন্ধে প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি সমাজের মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বাড়ানোর দরকার বলে মনে করেন চিকিৎসক,প্রশাসন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
মন্তব্য করুন