জুয়েল রানা দাউদকান্দি উপজেলা প্রতিনিধিঃ
গত ৫ই আগস্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর সারাদেশে একশ্রেণীর মানুষের দখলদারিত্ব ও চাঁদা উত্তোলনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে এ যেন জবরদখলের মহোৎসব চলছে। কে শুনে কার কথা….
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা।
গৌরীপুর বাজারের গোমতী ব্রিজ-সংলগ্ন হোমনা সড়কের পাশে মূল্যবান এ জায়গা দখল করে টিনের বেড়ি দিয়ে দেদারসে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গতকাল সোমবার জায়গাটি পরিদর্শন করে দখলদারত্বের নির্মাণ কাজকে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও জড়িতরা এসব তোয়াক্কা না করে এসব জায়গা দখলে মেতে উঠেছে। এবং নির্মাণ কাজ চলছে। দখলকৃত জায়গার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৩ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সওজের সাবেক কর্মকর্তা ফজলুল হক,কুমিল্লা সড়ক বিভাগীয় গৌরীপুর সড়ক উপ-বিভাগ কর্মরত থাকা অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারের হোমনা সড়কের দু’পাশে সওজের জায়গায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। এবং এতে শর্ত দেওয়া হয়েছে সওজের প্রয়োজনে (অর্থাৎ সরকার চাইলে সড়ক ও জনপথের কাজে) ব্যবহার করতে পারিবে। সে থেকেই সাবেক কর্মকর্তা ফজলুল হক তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সরকারি সওজের জায়গায় প্রায় ২৫-৩০ বছর বসবাস করতেন। পাশাপাশি সওজের জায়গায় তার সন্তানরা দোকান নির্মাণ করে ব্যবসায়ী বানিজ্যও চালিয়ে যেতেন।
এদিকে,গত ৫ই আগস্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর সওজের জায়গায় সাবেক কর্মকর্তা ফজলুল হকের পরিবার বসবাসরত অবস্থায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট তাঁদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরসহ তাদের এখান থেকে বের করে দেয়। এবং জোরপূর্বক সওজের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন ওই মহলটি।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্র-জনতা আজ মঙ্গলবার বিকেলে নির্মাণাধীন জায়গায় কাজ বন্ধ করে দেয়। এবং টিনের ওই বেড়ায় তালা ঝুলিয়ে দেয় গৌরীপুর এলাকার ছাত্র জনতা।
এ ব্যাপারে, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম সাংবাদিককে জানান,শীঘ্রই গৌরীপুর বাজারসহ আশপাশে যারা সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছে। সে সব জায়গা দখল মুক্ত করা হবে।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গৌরীপুর শাখা উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেহ্ কে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন