শফিকুল ইসলাম : রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন স্টাফ কোয়ার্টার- রামপুরা রোডে বাগানবাড়ি এলাকায় আলিফ বাস ও মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারুফ( ২২) নামের এক লোক নিহত হয়।তিনি বাগানবাড়ি এলাকায় তার পরিবারের সাথে বসবাস করতেন।তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সুজালপুর গ্রামে।
বুধবার ০২ এপ্রিল সকাল ৮ টায়, মারুফ মোটরবাইকে মেরাদিয়া বাজারে যাওয়ার পথে বাগানবাড়ি এলাকায় ড্রাইভার চলন্তগাড়িতে পছনে ফিরে যাত্রী উঠাতে ডাকাডাকির কারনে নিয়ন্ত্রণহীন আলিফ বাসের সাথে মোটরবাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।এতে আলিফ বাসের যাত্রীর কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাইক চালক বাসের ধাক্কায় ফুটবলেরমত দূরে ছিটকে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এই দুর্ঘটনার জন্য আলিফ বাসের ড্রাইভার দায়ী, বাসের ড্রাইভার বাস চলন্ত অবস্থায় পিছনে ফিরে যাত্রী উঠানামার জন্য ডাকাডাকি করার কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিডিও ফুটেজে ও তাই প্রমাণ করে। আলিফ বাসের নাম্বার ঢাকা মেট্রো ব- ১১- ৭০৮১। মারুফ বাসের ধাক্কায় মোটর বাইক থেকে ছিটকে পড়লে তার মাথার মগজ বেড় হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন তাকে ফরাজি হাসপাতালে নেয়া হলে ফরাজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে মারুফকে ঢামেক রেফার করে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে।নিউরো হাসপাতালে মারুফ বিকাল ৩টার সময় মারা যায়।দুর্ঘটনায় সাথে সাথেই বাসের ড্রাইভার পালিয়ে গেলেও হেল্পারকে লোকজন আটক করে বাসের মালিকের মোবাইল নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে এক ফাকে হেল্পার ও পালিয়ে যায়।
এদিকে ঈদের আনন্দ শেষ না হতেই মারুফের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। এলাকার স্থানীয় জনগণ ঘাতক আলিফ বাসের উপর চড়াও হলে আলিফ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিহত মারুফের বড় ভাই মনির হোসেন জানান আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। এই দুর্ঘটনার সাথে বাসের মালিকের ও বিচার হতে হবে, বাসের মালিকরা জেনে শুনে ইয়াবা খোর, নেশাখোর ড্রাইভার দিয়ে বাস চালায়।আমার ভাইয়ের মত যেন অকালে আর কারো প্রান না যায় তাই শামিমের মত জঘন্য বাস মালিকদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা মেট্রো ব ১১-৭০৮১ আলিফ বাসটি পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।মোটরবাইকটি ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার কারনে নাম্বার খুজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানা পুলিশের এস আই ফখরুল ইসলাম তার টিমসহ ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। লাশের সুরতহাল সনাক্তকরণ প্রতিবেদন করেন।খিলগাঁও থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আলিফ বাসের মালিক শামিম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি জানান হায়াত নাই মারা গেছে লোকতো ফিরিয়ে দিতে পারব না, সরকারি আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হয়, মামলা না করলে আমি এই টাকাটা মারুফের পরিবারকে দিয়ে দিব।এছাড়া আমি গরিব মানুষ বাসের হেল্পার থেকে মালিক হইছি আমার কাছে বেশি টাকা দাবি করলেও দিতে পারব না।
মন্তব্য করুন